উদাত্ত আহ্বান রেখে যাই আজ
           দীপ্র নতুন প্রজন্মের প্রতি-
নিকষ অন্ধকার থেকে প্রদীপ্ত সূর্য রশ্মির ন্যায়
বের হয়ে এসো দৃপ্ত পদে
সত্যের অন্বেষণে, সুন্দরের প্রত্যাশায়।


ক্ষমতালোভীরা উদগ্র মোহাবিষ্ট
ঘৃণ্য বাসনার লোলুপতায়, নিষ্ক্রিয়, নির্বিকার;
মানুষ-মঙ্গল-চেতনা হতে ক্রমশ যাচ্ছে দূরে;
উঠে এসো, প্রদীপ্ত প্রজন্ম! করো সত্যের সন্ধান।


একদিন-
স্নেহাতুর জননী স্বীয় সত্ত্বার প্রতিভূ সন্তানটিকে
রণাঙ্গনে পাঠিয়েছিলো বুকে ধরে উষ্ণ উচ্ছ্বাস,
যুবতী বধুটি বৈধব্যের অশণি সংকেতেও
কেঁদে উঠেনি স্বামীকে যুদ্ধের মাঠে যেতে,
সতীত্ব হারানোর অসহ্য যন্ত্রণা
আলিঙ্গন করেছিলো কতো জননী-জায়া-ভগিনী;
কতো ত্যাগ-তিতিক্ষা, রক্তের পথ বেয়ে এলো স্বাধীনতা।


বাংলার মানুষ সরল-সাধারণ-সবুজ,
           কিন্তু অজেয় বুঝে গেলো দুর্বৃত্ত।
বিস্ময়াভূত পৃথিবীর মানুষ!
সেই অজেয় জাতি আজ নিস্তরঙ্গ জলধীর মতো
অথবা নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসারত;
গণতন্ত্রহীন নিদারুণ নীরব, নিথর, নিস্তব্ধ।


উঠে এসো, বিসুভিয়াসের তেজেঃ
          বঙ্গোপসাগরের তীরে,
সরল-সবুজ-সাধারণ মানুষের কাছে।
উঠে এসো, অকুতোভয় সাহসী প্রজন্ম অবতার!
মরুভূমির সূর্যোদয়ের মতো নিষ্কলুষ হৃদয় নিয়ে,
সুদৃঢ় হিমালয়ের প্রতীতি ও প্রত্যয়ে।


ঘোলা চোখ খুলে দাঁড়িয়ে রই কান পেতে -
তোমার দৃপ্ত পদক্ষেপের শব্দ শোনার তরে ...


২৮/১০/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।