মহাভারতী, ইন্দ্রপ্রস্ত-রানী, দ্রৌপদী!
গুরুদক্ষিণা দান অঙ্গীকার স্বরূপ
পান্ডবের শৌর্যবীর্য আপতিত হয়
তোমারই পিতৃদেব দ্রুপদ সংহারে।
কী আশ্চর্য! কামনা করেছো পতিরূপে
তাকেই; হে যাজ্ঞসেনী, অযোনীসম্ভবা!
চক্রিত মৎস্য তীরবিদ্ধ; অতঃপর,
লভি কুঞ্চিতকেশী, শ্যামাঙ্গী, নন্দ-স্তনা!


মাতৃআজ্ঞা পালনার্থে অর্জিত সুন্দরী,
পঞ্চবীর ভার্যা হলে, অর্জুনের দায়?
জানি, অর্জুন সোহাগী তুমি, পতিপ্রাণা,
জগতের ভাগ্যবতী, নিষ্কলঙ্ক নারী!
ধৃতরাষ্ট্রের সভায় দ্রৌপদী নিগ্রহে,
অর্জুন-সখা কৃষ্ণ আসেনি ধর্মরূপে?
তবু, এতো অভিমান বিগলিত হয়
অর্জুনের নিষ্কলুষ চেতনার 'পর!


পাঞ্চালী! বড়ো কৌশলী আমাদের মর্ত্যে;
স্বয়ম্ভর সভা মাঝে মৎস নয়নে
শরবিদ্ধের ক্ষমতা কর্ণেরও ছিলো;
অবৈধ প্রেমে অর্জুন মোহে অন্ধ হলে।
পঞ্চ পান্ডব সান্নিধ্যে বিমোহিত তুমি,
করেছো বেদবিহিত অধর্মের কর্ম,
তবুও ধরায় শুভ্রা, সাধ্বী শিরোমনি,
অর্জুন কর্মের ফলে নিষ্কলুষ র'লে।


কতো না আনন্দে ছিলে! প্রতিবিন্ধ্য নিলে
যুধিষ্ঠির হতে; ভীম হতে সুতসোম,
শ্রুতকীর্তি নিলে আমার ঔরস হতে,
শতানিক নকুলের শক্তিময়তায়,
শ্রুতকর্ম সহদেব দিলো উপহার।
বড়ো কৌশলী, পাঞ্চালী, মর্ত্যের সুন্দরী!


১৩/১১/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।