ক্লান্ত শরীরে শুয়ে আছো তুমি ঘুমন্ত রাজকন্যা!
চেয়ে আছি আমি অপলক চোখে ঘুমহীন এই রাত্রি;
অকাল বরষে শুষ্ক নদীতে নেমে আসে ঘোর বন্যা,
আমরা দু’জন ফুল শয্যায় স্বর্গলোকের যাত্রী।
          সোনার পুতুল! চোখ মেলে দেখো জাগিছে ত্রিভূজ ব্যাপারী,
          ঘন নিশিকাল সীমান্তপারে এখনো জাগেনি অরুণ;
          নক্ষত্রেরা দিচ্ছে পাহারা সুনসান এ বিভাবরী,
          তোমার স্পর্শে প্রতিরাতে হই মাদক-মদির-তরুণ।
রাতের রমণ শেষে থাকে শুধু স্বর্গ-সুখ শিহরণ,
পৃথিবীর মতো সয়ে যাও তুমি শাররীক সব আঘাত;
দীপ্য প্রতিঘাতে উতরোল ঢেউয়ের দিয়ে পরশণ
সমূহ সুখের পালক ছড়াও শয্যাদেশে প্রতিরাত।
          আমায় করেছো ক্রীতদাস তুমি অমল প্রেমের নিগড়ে,
          রক্তিম ঠোঁট অমৃত-কুম্ভ, অবহেলা করি কি করে?


২৩/০৩/২০১৫
মিরপুর, ঢাকা।


(মাত্রাবৃত্ত ছন্দে একুশ মাত্রার(৬/৬/৬/৩) চতুর্দশপদী কবিতা।)