মন পবনের নাও-
দীঘল রাত্রে পাল তুলে তুমি একলা কোথায় যাও?
এতোদিন শুধু ভুলের ভেতরে কাটায়াছো দিনগুলো,
নিঠুর সময় তুলে এনে দিলো চলার পথেই ধুলো,
সারা দিনমান ছুটে চলো, যেনো গাধার সামনে মুলো;
যতো ছুটো জোরে পাবে নাকো তারে আর কতো দৌড়াও?


শিশুর মতোন মন-
শুধু চেয়ে যাও ভালোবাসা-প্রেম, আদরের চুম্বন!
দুঃখ-আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন মানুষের ভালোবাসা,
ঝড়োয়াল রাতে উড়ে গেছে সব জীবনের প্রত্যাশা,
আঁধার দরিয়া উত্তাল ঢেউ দেখেনাতো কোন আশা;
গোধুলীলগনে দুঃখরা এসে বাজছে ঝনন ঝন।


এই পাড়ে বসে কাঁদি-
আপন ভুলের সঙ্গীত রচি' আপন মনেই সাধি।
রাতের তারারা নির্ঘুম আজো, আমার মতোন জাগে,
বিরহ-যাতনা বিষাদ বিধুর বুঝেছিলো কেবা আগে?
বাড়ব অগ্নি হৃদয়ের মাঝে মৃত্যুর সুধা মাগে;
এই সুধাধারা অঝরে ঝরছে, নিজেই নিজের বাদী।


ঝরা পালকের দেশে-
মিছেমিছি ঘুরি যাতনাকে নিয়ে, মৃত্তিকা ভালোবেসে।
আমার শরীর পৃথিবীর বুকে মিলেমিশে হবে ধুলি,
সেখানে যদিবা সৃষ্টি হয় গো একটি গোলাপ কলি,
জড়ায়ে ধরুক শুধু ভালোবেসে ধুম্রের কুণ্ডলী,
উষার আকাশে নবীন প্রভাতে ধূসব কুয়াশা এসে।


যাহাকে পেয়েছি আমি-
এখন তাহার কালকূট মন, অন্তরে ধ্রার্ষ্টামী।
খুঁজে গেছি শুধু উদার আকাশ, দুধ সাদা এক চাঁদ,
তার বুকে আজ হিংস্রতা জাগে- ধুতরা বিষের স্বাদ,
জীবনের ঘরে বাসনা মরেছে নেমে আসে অবসাদ;
মৃত্যুর কোলে শান্তি পরশ কামনা দিবস-যামী।


২৩/১২/২০১৫
মিরপুর, ঢাকা।