আজো তুমি বসবাস করো অস্তিত্বের ঘরে
স্মৃতির মাধুরী নিয়ে; জেগে উঠো অবসর ক্ষণে
যখন ঘুম আসে না; রাত্রির প্রহর চলে যায়
শিশিরের শব্দের মতোন;
ভেসে উঠে হৃদয়ের ক্যানভাসে পুরাতন ভালোবাসা।
নিঃশব্দে উল্টিয়ে যাই সে-ই সকল চিঠির পাণ্ডুলিপি;
যেখানে লিখেছো ভুলভাল বানানে প্রাণোস্পর্শের কথা-
চুলোর আগুনে ধোঁয়া উঠেছিলো,
তার মোলায়েম ছোঁয়ায় হয়েছে চক্ষু লাল;
বড়ো জ্বালাতন করে দখিনা বাতাস চিরকাল!
দ্বিপ্রহরে পাখিদের শিসে মন আনমনা হয়,
বর্ষার অলস দুপুরের কালে কাঁথার ফোঁড়ন
হঠাৎ করেই লেগেছিলো আঙুলের ডগায়;
শীতে সকালের ভেজা ঘাস, হলুদ শর্ষের ফুল
সুখের স্পর্শে ধীরস্থির প্রাণ চঞ্চল হতো,
পুকুরের পাড়ে কচুর লতি তোলার গল্প,
গোধুলিলগ্নে নাড়ার আগুনে পোড়া মটরশুঁটি;
আরও কতো কি! কতো কথা আরো!
সে সকল খুলে দেখি।
অথচ, আমরা পরস্পর কতোই না দূরে,
শুধু বেদনার কাতরতা বাড়ে।


২১/১১/২০১৬
মিরপুর, ঢাকা।