তোমার ঘরের জানালাটা আজ খুলে রেখো, প্রিয়!
রাতের আঁধারে নৈশাব্দিক চরণ ফেলিয়া
তোমার কুঞ্জে রাখবো চরণ নওল শরীরে;
জানালাটা তাই খুলে রেখো আজ। বিনিদ্র রাত;
চারিদিকে জ্বলে জোনাকির আলো, কতো কথা জাগে
বুকের গহীনে, আনচান করে; বলিবারে চাই
নিরলে একাকী। উৎসাহে ভাটা পড়ে; কামনার
প্রেমার্দ্র বুকে অশেষ বাসনা জাগে অনিবার;
নষ্ট নগ্ন বেদনায় কাঁদে অসীম জীবন।
ঝড়ে বন্যায় জুলুমে জখমে অনাহারে আছি
বহুদিন ধরে; এই যৌবনে পুষ্টিহীনতা
গ্রাস করিয়াছে। শুদ্ধ পলির ক্ষেতের কৃষক;
কুমির তাড়ানো বাঘের কবলে কাটাই জীবন।
জীবনের জল যৌবনে এসে জোয়ার জলের
মতো, কলকল স্বরে প্রবাহিত হয় অবিরত।
তখন আকাশের তারায় জাগে জলের সুরভী,
কামিনীর গন্ধে জাগায় মৌতাত মাদকতা;
সভ্য পোশাকি মানুষের মনে জাগে স্থূলতা।
সৌন্দর্যময় নারীর দেহের ভূমির খাতায়
লিখে যায় পুরুষেরা লাঙলের দৃপ্ত ফলায়
বিরল কবিতা- গন্ধম-রেণু; অমর্ত-ফসল।
নিভাঁজ খাতায় শ্রেষ্ঠ কবিতা লিখার আশায়
একাকী আসবো রাতের আঁধারে, খুলে রেখো তুমি
জানালাটা আজ, শুকতারা ডুবে যাওয়ার আগে।


২২/১২/২০১৬
মিরপুর, ঢাকা।