অমোঘ সুখের ইশারাতে ঘর থেকে নাও ডেকে-
শরদিন্দুর রাতের প্রহর- দীপ্ত মনোহর!
এই কথাটি বলে-
'সবুর করো, মজনু প্রেমিক, ধৈর্য ধরো তুমি;
ক্ষানিকপরেই আলোর ছটায় ভেসে যাবে প্রেমী!'


আলোয় অালোয় ভেসে যাবো,
তোমার হাতে হাত রেখে তাই ছুটছি দূরের পথে,
ভয়হীনতার রথে।
তীব্র আলোর বর্ণচ্ছটা চোখ ধাঁধিঁয়ে দিলো,
অন্ধকারের ফুঁটকিগুলো তীব্রতর হলো-
সবই এলোমেলো।


কি পেয়েছি? কি হারালাম? কি পাবো যে আর?
উথাল-পাথাল, টাল-মাটালের জীবন ও সংসার!
নিকষ কালোর কালির দোয়াত উপুড় হয়ে পড়ে,
দুস্তর পারাবারে।
বিমল তোমার হাসিখানি পদ্ম ফুলের নীল-
রঙ্গেরই ঝিলমিল,
নিরাশার ঐ সরবরের জলে।


কোন প্রেষণায়, কোন ছলনার ছলে?
বাঘিনীর নোখ দেখায়ে যাও নিজের থাবা খুলে!
ধ্যনমগ্ন ঋষি-হৃদয় মোক্ষলাভের সিদ্ধপুরুষ
ভীষণ ভীতির মাঝে।
সুখ পোয়াতী মনটা তাহার  
হেঁটে বেড়ায় দুঃখবোধের চলন্ত ভয়-লাজে।
আর কতকাল হাঁটবে লায়লা
মজনু হৃদের পরবাসীর মনে?
স্বপ্নসুখের সুনীল আকাশ যায় বুঝি আজ ঢেকে,
কৃষ্ণপ্রহর রাতের বেলার মেঘের আস্তরণে...


১৩/০২/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।