জলেতে টইটুম্বর আমার শরীর- অতল বর্ষায়
সুনিপুণ হাতে নাওয়ের বৈঠা ধরো, হলুদ আনন্দে
অগ্রযাত্রার পথে ভেসে যাবো সন্ধ্যার রক্তিম আভায়
আমরা দুইজন; বেহিসেবি শব্দের কবিতার ছন্দে।


তোমার পরশে জাগে জলজ প্রাণে তুমুল অহমিকা,
আমোদিত করে সবুজ বীথিকা, অবারিত মাঠ, ঘর;
নিটোল জলের শাওনের গাঙ। মেঘের বিদ্যুতশিখা
আলোকিত করে জলস্থলঅন্তরীক্ষ- বিশ্বচরাচর।


হৃদয়ের গহীনে তোমায় বেঁধে আমি হবো যে অমর,
প্রেমিক প্রবর! বৈঠা ধরো প্রাণ পণ ঝড়োয়াল বায়ে;
অবহেলার অসাবধানতায় বিষাদ জলের স্বর
হয়তো জেগে উঠবে ললিত লজ্জার নূপুরের পায়ে।


যদি ডুবে যাও ডুবন্ত চোরাবালির অতল গহ্বরে-
অন্ধকারে নিরুদ্দেশ হবে বিষাদীর মাতম অতলে।
আমার সিঁদুরকৌটা তোমার জিম্মায় রাখি, মাঝি! ঝড়ে
ভেসে যেতে দিও নাকো, এই অবনীর কামনার জলে।


১১/০৩/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।