ঘুম ভেঙে গেলো, শিশির মাখানো ভোরের বেলায়। প্রতিদিন পাই ঘুম থেকে জেগে- একটি বারতা শুভ কামনায়, মুঠোফোনেরই সাদা পর্দায়। মুঠোফোন খুলি, বাসি বিছানায় রাতের ক্লান্তি আড়মোড়া ভাঙে, স্বপ্নবিহীন ঘুমেরা পালায় অনন্য এক পারিজাত বনে। বিছানায় একা ভাবছি তোমায়- অনাদিকালের প্রিয়তি আমার। কল্পনাদের রঙিন পাখায় উড়ে উড়ে যাই। আমার শীর্ণ তর্জনি ছুঁয়ে যায় তোমারই নিটোল শরীর- নাক-চোখ-ঠোঁট, চিবুক-কপাল; সুবাস মাখা চূর্ণকুন্তল, রক্তিম গাল...। যতোসব পাগলামো ভিড় করে গোপনে গোপনে মনের গহীনে।


মাঝে মাঝে আমি কবি হয়ে যাই। যখন আমার প্রিয়তি দাঁড়ায় টান টান দেহে; পূর্ণ চাঁদের চোখ তুলে চায়। পূর্ণিমা নামে শরীরে আমার, তবে কেনো এই অন্তর ঢাকে অমাবস্যায়? ওয়ি প্রিয়তমা! প্রিয়তি আমার, আমার ভালোবাসা! মরু-তৃষ্ণায় বৃষ্টির ধারা, শত জনমের দুর্বোধ্য ভাষা। দুহাতে জড়ায়ে কোমল শরীর অসমসাহসী আঁকি জলছাপ, সাগরের জল মন্থণ করে ব্রহ্মার মতো তুলে আনি আমি অমৃতের সুধা। অনাদিকালের প্রিয়তি! আমারই মনস্তাপ। যুগে যুগে এসে শুধু ভালোবেসে ছড়াবে তোমার যৌবন-দ্যুতি, অমর লোকের অনিন্দ্য দেবী দূরের আকাশের অরুন্ধতী।


মুগ্ধ বালিকা! ভালোবাসো বলে অন্তরে বাজে কাব্যকথার অনাবিল সুর; কবি হৃদয়ের ভালোবাসা আর ক্ষতটি সাজাই তোমার হৃদয়ে। ধরে রেখো তারে হারায় না যেন, আঁধারের ঝড়ে। আমার প্রিয়তি অনিন্দ্যরূপী সুন্দরতমা! ঝড়োয়াল রাতে গহীন আঁধারে কাদম্বরীর উজ্জ্বলতর আলো ঝলমলা।


০১/০৪/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।