ছন্দকে নিয়ে করে যাই খেলা
ধরণীতে আমি নাগরিক কবি;
জলের উপরে জলের কালিতে
আঁকি মানুষের জীবনের ছবি।


কখনো যে দূর আকাশের নীল
বর্ণিল হয়, কখনো ধূসর;
তবুও যে তারে ধরে রাখি মনে,
সে হাসে অন্তরে, নিরন্তর।


মাঝে মাঝে তুমি প্রজাপতি হয়ে
চলে যাও দূরে, করি হাহাকার!
দেখি না কোথাও চারদিকে চাই
অন্ধকারায় খুঁজি বারবার।


জানালার পাশে একা বসে বসে
গত জীবনের শত ছবি আঁকি;
ভবিষ্যতের আয়নায় দেখি-
জীবনের আর কতোটুকু বাকি?


তুমি যদি চাও চলে যেতে পারো
হিসেবের খাতা দিতে পারো ছিঁড়ে;
সব লেনদেন সমাপন করি'
চলে যাবো আমি চিরায়ত নীড়ে।


নাগরিক মন করে ক্রন্দন
একটু সুখের পরশ পাওয়ার;
তুচ্ছ সকল বিষয়-আসয়
সময় হয়েছে সুদূরে যাওয়ার।


জীবনের পথে চলে যাও তুমি
মরণের দিকে করি প্রস্থান;
জলের উপরে জলের রেখায়
লিখে যাই আমি জীবনের গান।


চেয়েছি জীবনে অফুরান সুখ,
প্রেম-সঙ্গীত মাতাতে ধরণী;
পেলাম না কিছু তাই মনে দুখ
ঝরিছে; হে প্রণয়হীনা রমণী!


৩০/০৬/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।