কোন একজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছিলো আনমনে ভদ্রোচিতভাবে
সদরের রাস্তা দিয়ে আর সকলের সাথে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে
নিরুদ্বেগ পরিবেশে এক শান্ত বিকেল বেলায়।
আকাশে তখন বিকেলের মেঘ হাসি হাসি ভাব নিয়ে
উড়ে উড়ে যাচ্ছে যেন নিরুদ্দেশে, সাদা সাদা মেষেদের মতো
নৈঋতের মাঠ থেকে ঈশাণের অন্য কোন শ্যামলীমা মাঠে।
এমনি মাহেন্দ্রক্ষণে হীরার কুচির মতো শুভ্র মনে
এলেবেলে হেঁটে চলা পথচারী মেঘেদের খেলা দেখে
আর উৎফুল্ল হয়ে উচ্ছ্বল প্রাণের ভেতরের গান গেয়ে উঠে
অনিন্দ্যসুন্দর বারমাসী গান আনন্দের সুরে সুরে।


হঠাৎ একটি দাঁতালো সারমেয় অতিশয় গোস্বা করে
ঘেউ ঘেউ স্বরে ছুটে এলো অন্ধকার গলির গহ্বর থেকে
তার হলুদ হলুদ দাঁতগুলো খিঁচিয়ে নেড়ির মতো।
আশেপাশে তার যতোগুলো সঙ্গী-সাথী ছিলো
তারাও দৌঁড়ালো সেই অন্ধকারে বসবাস করা সারমেয়ের সাথে।
আজন্ম স্বভাব সারমেয়ের লেজ উঁচিয়ে দুরন্ত পদভারে ছুটে আসে
অতঃপর, লেজখানি গুটিয়ে নিরাপদ দূরত্বের সীমানায় থেকে
স্বীয় স্বভাবের চরম প্রকাশে কেঁউ কেঁউ করে
আর সব নিয়মের মতো ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে ফিরে যায়
যথাস্থানে- আপনার ঘরে।


সেই ভদ্র-সাধুজন পথচারী যথানিয়মে আবার হেঁটে চলে অভীষ্টের পানে-
তার মনের ভেতরে কিছুটা আফশোস নিয়ে
আকাশের তারা গুণতে গুণতে, চাঁদের মাধুরী দেখতে দেখতে
আর বাতাসে লুকানো মোলায়েম খুশবোর স্পর্শে আন্দোলিত মনে...


২২/০৫/২০১৫
মিরপুর, ঢাকা।