শহিদের রক্ত এখনও শুকায়নি মৃত্তিকার বুক থেকে
এ স্বাধীন বাংলাদেশে। জাঁহাবাজ শাসকের পদতলে
পিষ্ট সমস্ত পৃথিবী- পৃথিবীর তাবৎ মানুষ। চারিদিকে
ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার- জঙ্গীদের তৎপরতা, প্রভাত সূর্যের
আলোতে হাসে না বাংলাদেশ-  ধনতান্ত্রিক দানবের
বিশাল গহ্বরে নিপতিত হচ্ছে বিকশিত পূত সংস্কৃতির
পূর্ণিমার চাঁদ- সমাজতান্ত্রিক লাল গোলাপের উন্মিলন-
আমাদের সভ্যতার বুঁনিয়াদ।


                                   বিজন পুকুরে ডাহুকের,
জলপিপিদের শিস, ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছে এই নাগরিক
জীবনের করাল নেশায়। কালো প্রেতের মতোন সারিসারি
জনগণমন বিধ্বংসী শাসক বুর্জোয়া মোহের বিষপাত্র তুলে
দেয় সত্যনিষ্ঠ  চেতনবিদ্ধ সক্রেটিসের হাতে।


                                             সুদিনের প্রতীক্ষায়
যে কিশোর দৃপ্তচেতনার জ্যোতির্ময় চোখে দিগন্তের দিকে
দৃষ্টি মেলে চেয়ে আছে; তার কুসুমিত বয়সের দোহাই,
শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের কারাবাসের দোহাই,
রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে বেওনেটের খোঁচায় খোঁচায়
নিস্তেজ হয়ে যাওয়া দীপিত দৃষ্টির বুদ্ধিজীবীদের দোহাই,
মুক্তির বারতা নিয়ে রঙধনুর রঙিন গালিচার পথে
দৃপ্ত হেঁটে তোমাকে আসতেই হবে এ শ্যামল বাংলায়।


সারিসারি মৃত গাছের কঙ্কালে এবার সাজাতে হবে
ফুলের বাহার, রুক্ষ্ম জমিনের কণায় কণায় চাষ হবে
ক্ষুধার্ত শিশুর জন্য- ধান, গম, আনাজপাতির বীজ,
পৃথিবীর মানুষের মননে মননে রোপন করতে হবে
সমূদয় মানুষের জন্য সুতীব্র ভালোবাসার বটবৃক্ষ-
যা ক্রমশ  উর্ধ্বমূখী শাখা-প্রশাখায় বিশালতায় বিস্তৃত।
এসো কমরেড! সভ্যতার বুঁনিয়াদ সমাজতন্ত্রের শিখরে
আরোহণ করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাই- আমরা সবাই
মিছিলের ঢেউয়ের মতো ক্রমান্বয়ে সম্মুখের পানে।


২৩/১২/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।