কবিতারা যখনই জেগে ওঠে খলবল করে
মগজের শান্ত পুকুরের জলে একান্ত গোপনে;
কার্তিকের নাদুস-নুদুস পুঁটিদের মতো
ঝাঁক বেধে লাফিয়ে লাফিয়ে সাঁতরায়ে আসে।
অথবা, ভালোবাসার কুঞ্জবনে ভ্রমরের মতো গুঞ্জরিয়া
পুষ্পে পুষ্পে পরাগের খেলা খেলে।
ঠিক তখনই- কবিতা বোঝে না যিনি,
সামনে এসে দাঁড়ায় যমদূত প্রায়;
গম্ভীর স্বরে ও নিষ্প্রভ চাহনি ছড়িয়ে দিয়ে
হাতে তুলে দেয় পুরনো ধূসর বাজারের থলে;
যার পরতে পরতে এখনও জমে আছে
মাছের আঁশটে গন্ধ, আনাজের থেতলানো অংশ-
আর, তার সাথে বাজারের সওদার বিরাট ফিরিস্তি।


ছোট মেয়েটি ক্ষাণিক আগে ঘরের মেঝতে বসে
নেইলপালিশ দিয়েছিলো তার নোখে,
ছোট ছোট কোমল হাতের নিপুণ কৌশলে;
তার মৌতাত গন্ধটা এখনো বাতাসে আছে তীব্রতায়,
আঁশটে গন্ধটা গিলে খায়; সহনীয় হয়ে আসে।
তবে, আমার কবিতা জড়োসড়ো হয়ে পড়ে
কবিতা বোঝে না যিনি, তার কর্কশ স্বরের তাড়ায়।
হারিয়ে যায় এদিক-ওদিক গভীর জলে
সেই সব কবিতারা- তৈলাক্ত পুঁটি মাছের ঝাঁক।


১৪ বৈশাখ, ১৪২৪
২৭/০৪/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।