তুই তো আমার শ্যাম-রাধিকা- গোপিনীদের সেরা,
ভালোবেসে জীবন আমার করলি ছ্যাড়াব্যাড়া।
বৃষভানুর কন্যারে তুই, গোপীর শিরোমণি,
হাজার গোপীর মাঝে তোরে ভিন্ন করে চিনি।
বিষ্ণুপ্রিয়া লক্ষ্মী আমার বৃন্দাবনের দেবী,
কৃষ্ণ-হৃদয় মর্ত্যে এসে, যায় রাধারে সেবি।
কৃষ্ণলীলায় মাতাল হলি, ভুললি আয়ান ঘোষে,
সব লোকে কয় এ সকলই, মাখন চোরার দোষে।
সারাজীবন ঘুরলিরে তুই বিরহিণী রাধা,
একই আত্মার রূপ প্রতিভূ, তাইতো হয়নি বাঁধা।
তোরই জ্যোতি বিলীন হলো আমার জ‌্যোতির মাঝে,
অমিত তেজ প্রেমখানি তোর, কৃষ্ণ-বুকে বাজে।
আজকে ডাকিস বাল-গোপালের নয়নমনি, ওরে!
দুঃখবাদী বনমালী নেয়নি তোরে ঘরে।
কৃষ্ণলীলা এই জগতে নয়তো সাধারণ,
পরম আত্মায় ভক্ত-জীবন হয় যে সমর্পণ।
তুই যে আমার রাই-কিশোরী, কৃষ্ণ-প্রেমের ভক্ত!
মর্ত্য মাঝে তাইতো হলাম রাধার অনুরক্ত।
পাড়াপড়শী যাইবা বলুক, শাশ্বত এই প্রেম,
যেথায় থাকি যেমন করেই, আমি তোরই শ্যাম।
আমি তোরই রাখাল রাজা, ওই যশোদার ছেলে,
গোষ্ঠে বাজাই বংশীখানি সকল খেলা ফেলে।
তুই যে আমার চন্দ্র-তারা, আমার হিয়ার দীপ্তি,
ধরায় এসে ভালোবেসে হৃদয় পেলো তৃপ্তি।
যুদ্ধজয়ের আনন্দেতে ভাবছি তোরই কথা,
অচিন ব্যাধে সায়ক ছুঁড়ে হত্যা করে যথা।
কৃষ্ণলীলা কিশোর খেলা সাঙ্গ হলো সব,
নিভে গেলো জীবন-প্রদীপ শেষ হলো উৎসব।
আয় রাধিকা, আয় না বুকে, কৃষ্ণ তোরই লাল,
সাত পাকেতে বন্ধনহীন রইবো চিরকাল।


০৪/০৩/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।