ট্রেন ছাড়ার শেষ বাঁশি বাজে;
দ্রুত পদে শেষের কামরায় উঠে পড়ে সে।
ট্রেনের চাকা গড়িয়ে ষ্টেশন ফেলে
অদৃশ্য হয় গন্তব্যে।
নবীন মাঝি যখন ষ্টেশনে পৌঁছে
তখন শুনশান নিরবতা।
অথচ এইতো ক্লান্ত পায়ে
এতটা পথ বেয়ে
শেষ বিকেলের আলো ছুঁয়ে
সোনালি স্বপ্নের গ্রন্থি বেঁধে বলেছিল সে
উজান গাঙ্গে নাও ভাসিয়ে
পাড়ি দেবে অজানায়।
তারপর পাতা ঝরার দিন পেরিয়ে
ফাল্গুন-চৈত্র-বৈশাখ ফেলে
শ্রাবণের মেঘ থৈ থৈ দিনে
নবীন মাঝি নৌকা ছেড়ে
ষ্টেশনে ফেরি করে
তার বিবর্ণ পদাবলী।
ট্রেন আসে ট্রেন যায়
দিন-মাস-বছর গড়ায়
নবীন মাঝি বসে থাকে ষ্টেশনে
একটি ট্রেনের অপেক্ষায়।