যাওয়া ও আসার পথে প্রায়ই চোখে পড়ে বৃদ্ধকে
ছিন্নবস্ত্র, শুভ্রকেশ নেমে এসেছে ঘাড়ে
মুখভর্তি দীর্ঘ শ্মশ্রুতে ধীরে অঙ্গুলি সঞ্চারি
গভীর অক্ষিকোটরে ক্ষীণদৃষ্টি মেলে
ঝিমোয় ফুটপাথে; অবনত মস্তকে
কটি ও গ্রীবাদেশ ঋজু হওয়ার অপেক্ষায়
কেশে চলে বিরামহীন;অথবা কখনো মৃতবৎ
পড়ে থাকে দেহটা চলৎশক্তিহীন।
অগণিত নরনারী বৃদ্ধকে পিছে ফেলে
ফুটপাথে হেঁটে চলে সারি সারি
তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে বৃদ্ধ যেন মহাসমুদ্রে
ভেসে চলে একাকী; সাতরায়ে দিগ্বিদিক
চারিদিকে অথৈ পাথার তবু জল নেই তৃষ্ঞার।
হয়তো একদিন ছিল তার সব;
কোন এক জোছনা-প্লাবন রাতে
কিংবা বর্ষণ ক্লান্ত শ্রাবণে মাতৃক্রোড়ে
ধরণীর সাথে হলো তার পরিচয়
দেহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল মায়ের আদর মাখা;
যৌবনে ভালোবাসার ঘ্রাণ ছিল বুকে-
এখন পল্লবহীন শূণ্য বৃক্ষ দাঁড়িয়ে নির্জীব
ন্যুব্জ শরীরটা অপেক্ষায় শুধুই ফুরিয়ে যাওয়ার
সেই মুক্তির ক্ষণ - গুনছে প্রহর আলিঙ্গনের।


21.03.2017