অমন মনমরা বিষণ্ণ চোখে তুমি কী দেখছ হুমায়রা ?
তোমার ঐ বিষণ্ণ দৃষ্টির আ লো য়
আমার মন বুঝি কেমন করে ওঠে না ?
: ( না, তুমি আমায় একটুকুও ভালোবাসো না । )
না হুমায়রা, তোমার দুঃখের গভীরে আমিও বিষণ্ণ দ্যাখো কীভাবে মিলেমিশে একাকার, তুমি তা বোঝ না - ।
এবার একটু এদিকে তাকাও-
দ্যাখোতো আমার চক্ষুদ্বয় কি তোমার চোখের জলে করুণ সিক্ত নয় ?
:
:
: (আচ্ছা, তুমি অমন সুন্দর করে কথা বলো কী করে, আমি যে নিজেকে ধরে রাখতে পারি না । সত্যি করে বলতো- তুমি কি আমায় ভালোবাসো?)
আমার দশদিগন্তে শূন্যতা, শূন্যতার গভীরে আরও সুগভীর মায়াময় শূন্যতায় আমি কি কেবল তোমায় রাখিনি হুমায়রা? উদ্ভ্রান্তের মতো সমস্ত পৃথিবী ঘুরেফিরে আমি কি কেবল তোমার পবিত্রতায় এসে নিজেকে বিলীন করিনি ?
: ( তাহলে তুমি আজ কথা দাও লক্ষ্মীটি, আমৃত্যু তুমি কেবল
আমারি রবে। কবিতায় তুমি আর কক্ষনো অণিমা’কে লিখবে না । )
না হুমায়রা, তা আমি পারি না ।
: (কেন পারো না ?)
আমার রক্তে যে পবিত্রব্যথা আজো প্রবহমান,
আমার দিগন্তময় যে অসীম শূন্যতা, সে হল অণিমা ।
অণিমা হল তোমারি অভিন্ন সত্তা, যে অবজ্ঞায় মুখ ফিরিয়ে আজ কেবল অধরা ।
হুমায়রা, আমাদের বিয়ের আজ কতো বছর হতে চললো ?