চরের সবুজ ঘাস,দক্ষিনে বহমান ব্রহ্মপুত্র নদী,
পাল তুলা ডিঙি ঢেউয়ের কলতানে নাবিকের ভাটিয়ালির সুরে করে নৃত্য আনন্দ।
দল বেঁধে হাঁসগুলো ভেসে বেড়ায় আর ডুব দিয়ে তুলে জল খাবার । জেলে জালের ফাঁদ পেতে বন্দি করে মাছ। নদীর তীরে ছনবন। চরে কৃষকের ভুট্টা আর গম আবাদ।  দেখতে দেখতে কথা বলার ফাঁকে তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সেই দিন। এখন তুমি আমাকে নাম ধরে সম্মোধন  করো। বিয়ের পর কি বলে সম্বোধন করিবে? তুমি বলেছিলে মানুষের সামনে ওগো-হেগো  আড়ালে বলবো সুন্দরী জামাই। আমি বলে ছিলাম পুরুষ সুন্দর হয় সুন্দরী নয়। তুমি কিছুক্ষণ ভাবলে পরে আবার বললে ঘরের ভিতর তোমাকে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি পড়িয়ে মেকাপ দিয়ে সুন্দরী বানিয়ে দিব। আর আমি প্যান্ট শার্ট পরে সাজবো পুরুষ। আচ্ছা সুন্দরী জামাই ডাকবোনা তাহলে, সুন্দরী বাবুর্চি ডাকবো। তুমি কি রান্না করতে পারো?  ডিম পোস আলু বাজি আর মুসুরি ডাল দিয়ে খিচুরি। লাল মরিচ ভাজার সাথে থাকবে শষা আর পিয়াজ। খাওয়ার পরে বাবুর্চি জামাইয়ের হাতে রং চা। মিস্টি জর্দা, দিয়ে জামাই বাবুর্চির হাতে পান। নাহ্ আমি রান্না করতে পারবোনা।
তবে ভালবাসতে পারবো। কবিতা লিখে আবৃত্তি করে কন্ঠে শুনাতে পারবো। তাহলে তোমাকে ডাকবো কবিতার  জামাই। আমি কবিতার জামাই না, তোমার মা-বাবার ঝিয়ের জামাই।