রমেশবাবু বড়ই কাবু,
বাতে শুধু খান সাবু।
আর নদীর জল,
পাশে বয়ে যাওয়া নদীর জল টল মল।


বাত তাড়াতে বদ্যি হাকিম সবাই এল বাটে,
দু চারদিন একটুভাল, তারপর কোন ওষুধই না আঁটে।
ধাত যে তার বেজাই নরম, একটু তে শীত লাগে,
লেপ কম্বল এক ডজন আছে তাতেও না ঠান্ডা কাটে।


শেষ বেলাতে বাঁচার একটি উপায় বের করেন,
খাট থেকে তাঁকে যে ওঠাবে সে ঘরজামাই হবেন,
দিকে দিকে রমেশবাবুর রটে যায় শর্ত,
সারাজীবন কষ্ট করে জমিয়েছেন অনেক অর্থ।
একটি সুন্দরী মেয়ে,রমেশবাবু তাঁর বাপ,
ঘরজামাই হলে, রাজকন্যে সঙ্গে রাজপাঠ,
শর্তও যে বড়ই অদ্ভুত, নেই কোন মাপ,
তবু বাটিতে জুটল অনেক ডাক্তারের বাপ।


এরই মধ্যে ছিল "বিকাশ", একটু লাজুক প্রকৃতি,
তবু সামনে এসে বলল সে এই শর্তে রাজি।
করতে হবে সেই রকম সে যা বলবে,
তার কথা না মানা পর্যন্ত সে না টলবে।
রমেশ বাবু তার কথায়,রাজি হয়ে যান,
কোথা থেকে এক উনুন নিয়ে আসে সটান।
চোখ দুটো পটি পড়িয়ে যেই না উনুন পায়ে,
মাগো বাপরে বলে তড়াক করে লাফিয়ে,
খাট থেকে সোজা তিনি বারান্দায় লাফ,
সেখানে দিয়ে বেঁচে ফিরে নিলেন হাঁপ।


শর্তানুযায়ী এবারতো বিয়েটা দিতে হয়,
সারাজীবন তো আমিই দেখব বিকাশ দেন অভয়।