শ্রোতাব্ন্ধু শোন, এই বাংলার কৃষকের ইতিক্থা,
মরমে পশিবে অমোঘ য্ন্ত্রনার, এমনই আত্মক্থা।


আড়ষ্ট কন্ঠে যেদিন চেয়েছি ভিক্ষাসম ঋন,
বুঝিতে পারিনি সেটাই হবে, কন্টক সমিন।


মনে ছিল আশা, হবে নতূন দিনের সূচনা।
তুলে দেওয়া যাবে মুখে হাসি, ঘুচবে কান্না।


উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে আমার মৃত্যু মিছিল,
ক্ষরা-বৃষ্টি উপেক্ষা করে, সস্য রক্ষনে সামিল।


কীট-পতঙ্গ নিবারনে "ফলিডল" কার্যকরী ,
জুড়িবে অসহ্য জ্বালা, সেদিন  বুঝিনি।


ব্র্ষশেষে নবান্ন এল, ঘরে আনন্দের রোল,
উপস্থিত পেয়াদা, উঠানে কিসের গোল?


নায়েব এসেছে করতে লুঠ ফ্সল তাড়াতাড়ি,
"রাজার হ্স্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি"।


ঘরে হাহাকার, হাসি গেল মুছে কিজানি কি আপরাধে।
গুমরী ওঠে শিশু, আধপেটা শুয়ে, স্বপ্নে বিভিষিকা বাঁধ সাধে।  


তবে কি উপান্ত ? করে বাপান্ত নায়েবের তিরস্কার।
আকাশ-পাতাল চিন্তা, নাই কোন পন্থা, ফলিডলই প্রতিকার।