রাখা আছে সবই,
পোড়াবার কাঠ, ভাঙা খাট
সারাতে হবেনা আর, ঢাকার কাপড়ও আছে,
জুন দড়ি? তাও আছে জড়ো।
বসাতে হবেনা কোনো নতুন চারা,
ফলওতো আসেনা আর বুড়ো আম গাছে,
পোড়াবার জায়গাও বহুদিন ঠিক হয়ে আছে।
তৈরি হয়েই আছে পরিপাটি শোক-শয্যাটি,
মুখেতে বারুদ নিয়ে উদগ্রীব হয়ে আছে অন্তিম দেশলাইকাঠি।
আমারই অপেক্ষাতে এখনোও দাঁড়িয়ে বুঝি
শববাহী গাড়ী!


তবুও চলেছি গড়ে তিনতলা বাড়ি।
কী করেছি কতটুকু ভাবিনি কভুও,
আসল জায়গাটাই গোছানো হোলোনা রয়ে গেল বাকি,
কোথায় জায়গা পাবো মৃত্যুর পরে?
নিজেই দিয়েছি আমি নিজেকেই কতখানি ফাঁকি।


শয়তান গলি দিয়ে ছুটেই চলেছি তবু দেখিনিতো শ্মশানেই পা,
কার হাতে তুলে দেবো ভেবেও দেখিনি এই পাপের পূর্ন মুনাফা।
বুঝতে চাইনি আমি, তাকিয়ে দেখিনি কভু কতখানি আগ্রহী চিতা,
মুখাগ্নি করবে যে ছেলে, আমি তারই অপরাধী পিতা।।