অনন্ত এক জ্যোৎস্নাৎসবে নিয়ে যাবে বলে
যে জোনাক এসেছিলো রাতে
সে জানে না -চোখে আলো জ্বেলেও
কতোকাল কাটিয়েছি অন্ধ জীবন,
একা।
মোমের মতো জ্বলেছি কতো
গলে গিয়ে আবার -শেষ থেকে শুরু
চক্রাকারে ঘূর্ণায়মান
স্থির অপেক্ষা।
বেখাপ্পা সময় স্কিপ কোরে যায়
পাতার মতো ঝরতে থাকে তারিখ
কচ্ছপের রেস জিতে
বহু পথ ফেলে আসি দূরে
তবু পায়ের আগেই রাস্তা পেরোয় চোখ
চৌহদ্দি ছাড়িয়ে যায়।
চোখ, প্রাচীনতম কোনো হ্রদ
কিঞ্চিদধিক তরল তার দৃষ্টি
আকস্মিক স্বচ্ছতার দাবী রাখে
এ জীবনের ক্ষয় নেই, মৃত্যু নেই
যেনো ছায়াবিহীন শরীর শুধু
ক্রমাগত বেড়ে চলেছি বৃত্তের ভেতর।