গুড়ো বালির মতো তুমি -তোমার শরীর
মুঠোবন্দি না কোরেও দখলে রাখতে পারি
অনন্তকাল
তবুও সুযোগ পেলে
আঙ্গুলের ফাঁক গলে
ঝুরঝুর কোরে বেরিয়ে আসতে চাও ক্যানো?
অবশ্য জোর করা চলে না
আর সময় যেহেতু চলমান
তাই দ্বিধাজনক চেয়ে থাকার কোনো মানে নেই
থেমে থাকারও মানে হয় না
বস্তুত থামে না কিছুই।
শীতকাল চলে আসে
আমি জমতে থাকি
স্থিরত্ব বাড়ে
সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মায়াগাছ
আমি তখন চোখের পেছনে রাখি অনুসন্ধানী আয়না
এখানে কারো ছায়া পড়ে না কখনো
শুধু তোমার চোখের জাদুর পর
দীর্ঘ শব্দের নীরবতা
ধেয়ে এসে থেমে যায়
জানি আমিও বিস্মৃত হবো দ্রুত
ক্ষয়ে যাবো
তবু একদিন
আঁচলে যদি টান লাগে
সম্মুখে তাকাও যদি
বন্য ঘন্টার দৌড় থামিয়ে
আমার ধ্বংস্তূপের ছাই
স্বপ্নের আবর্জনা সকল
বাতাসে মিলিয়ে দিয়ে
কখনো কোথাও এক মুহূর্তের জন্য
আমায় স্মরণ কোরো
খুব গোপনে
আমায় স্মরণ কোরো স্পর্শের মতো
আলতোভাবে
শরীরের প্রতিটি ভাঁজে
নিশ্চয় আমিও প্রতিক্রিয়াশীল, আশু-প্রভাবিত।