হাত হয়েছে রক্তে লাল,
শরীরে ক্লান্তির তৃষ্ণা।
দীর্ঘ দিনের অশ্রদ্ধায়
আজ ম্লান -
শাপলা,রঙ্গন,দোলন-চাঁপা।
রক্তের আহ্বানে,
কোনো এক
ধর্মের অরক্ষি
আজ হাসছে;
রক্তাক্ত করছে;
ক্ষতবিক্ষত করছে;
রবীন্দ্র-নজরুল-জীবনানন্দকে।
কাঁদছে বাংলা।
বাংলার বাতাসে
ফুলের সুবাসে
ভাসছে শোকার্ত কণ্ঠস্বর;
এক দুখিনী মায়ের
করুণ কান্না -
ফিরে আয় ফিরে আয়
ফিরে আয় তসলিমা।।


গঙ্গা-পদ্মার আকাশ দিয়ে
গাঙচিল উড়ে আসে;
ডুব দ্যায়
গাঙুরের জলে।
হিজল বট অসথঃরা
চুপ করে দেখে,
অশান্তির আঁতুড়ঘর,
কাদের জন্ম দিল শেষে?
আজকের মীরজাফরদের দেখে
ঊরুতে চাপড় মেরে
হাসছে দুর্যোধন।
লোলুপ্ত হায়নার দৃষ্টিতে
নিরীক্ষিত, লাঞ্ছিত,
বাংলার শরীর-মন।
সে কাঁদছে;
তার দুচোখ ভাসছে জলে,-
জারুল-ঘাসফুল-দোয়েল-ময়না
সবাই চুপ; শুধু কন্ঠে বিদীর্ণ কান্না-
ফিরে আয় ফিরে আয়
ফিরে আয় তসলিমা।।


ঢাকা থেকে কলকাতা;
কলকাতা থেকে দিল্লি;
আজ নাজানি কোথায়,
কোন শহরে হাঁটছো তুমি?
কেমন আছো? কি খাচ্ছো?
আকণ্ঠ মদ্যপান করে
তুমি হাসছো; নাকি ভাবছো,-
হটাত আবার এসব কেনো?
এতো দুও এতো অভিসম্পাত,
তারপর আবার, কি দরকার?
ফেরার পথতো কবেই হয়েছে নষ্ট।
কেউ কি দেখতে পাচ্ছ
আজ রক্তাক্ত,- সোনার বাংলা
অশ্রু প্লাবনে ভাসছে
তিস্তা-পদ্মা-গঙ্গা।
কান পাতলেই শোনা যায়
এক দুখিনী মায়ের ভয়ার্ত কণ্ঠস্বর;
সে কাঁদছে, কাঁদছে বাংলা -
ফিরে আয় ফিরে আয়
ফিরে আয় তসলিমা।।