আগুনে আমার বড় ভয়
দূরে দূরে থাকি-দূর থেকে দেখি
দূরত্ব বাড়ে, যত বাড়ে
আগুনের উত্তাপ ততটাই বাড়ে আর
শিলা গলানোর নিপুণ শৈলীতে
আত্মার আবরণ গলে যায়।


ঠিক তখনই বোধহয় কষ্টগুলো বড় হয়
কষ্টেরও সীমারেখা থাকে
সীমানার ওই পাড়ে মরণফাঁদ
                     অথবা গিরিখাদ
অন্তিম বিন্দুতে কিছুই করার থাকেনা
যেমন ছিল না এবার বিজয়া দশমীতে
চা-মজুরের মেয়েটি
তাইতো সেদিন বাপের মাথার ওপর
চালিয়ে দিয়েছিল কাটারিটা
নিথর বাপের দেহটাতে
টেনেছিল কষ্টের সীমারেখা।


আগুনে আমার বড় ভয়
তবু উত্তাপ লাগে আবরণ গলে যায়
হামাগুড়ি দিয়ে হেঁটে যাই শীত দেশে
কষ্ট-বেলুন চুপসে্ যায়
সকলেই হয়তো সীমানায় পৌঁছতেও পারে না।


[ প্রেরণা উৎস ঃ ২০০৩ সালে , দৈনিক খবরের কাগজে প্রকাশিত হয় রীনা ওঁরাও তার বাবা ডুরেন ওঁরাও কে হত্যা করে। পুলিশ রীনাকে গ্রেপ্তার করে। ]
__________________________________


কাব্যগ্রন্থঃ পাখি নামের মেয়েটি
প্রকাশ ঃ মে, ২০০৪,
নবজন্ম প্রকাশন, শিলিগুড়ি