তোমায় ভালোবাসার চরমক্ষণে,
শিউলি ঝরে থাকবে তরুতলে
সিন্গ্ধ বাতাস বইবে আপন মনে
শরতের নতুন পাতা বনে বনে
দুলবে ঝরে যাওয়ার বেদনা ভুলে ।
দিবসে গ্রীষ্মের আগুনে যখন জ্বলেছি
বর্ষণ-মুখর রাতের আঁধারে কেঁদেছি
কাছে টানবো বিরহ বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে ।
স্মৃতির পাতা উড়বে আপন মনে
নতুন স্মৃতি গড়বো প্রতিক্ষনে
সময় চক্রের ঘোরার বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে।
ভালোবাসা এতো পাবে তুমি
জলকে ভালোবাসে যতটা ভূমি
ভিজে যাবার সমস্ত বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে ।
সীমার মাঝেই অসীম ভালোবাসায়
ঢাকের তালেই পাখিরা যে গান গায়
সুর হারানোর সমস্ত বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে ।
স্বপ্ন যখন হবে ভালোবাসা
থাকবে শুধু মুর্চ্ছনারই আশা
স্বপ্ন ভাঙার সমস্ত বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে ।
কথা বলবো যখন কবিতাতে
প্রিয় নামেই ডাকবো অঙ্কিতাকে
ছন্দপতনের সমস্ত বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে ।
পুজোর মাঝে দেখবো তোমায় দেবী
হৃদয়মাঝে সাজিয়ে তোমার বেদি
বিসর্জ্জনের সমস্ত বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে ।
সারাজীবন থাকবে হৃৎকমলে
শিউলি ঝরাবো কৃষ্ণচূড়ার তলে
নাম হারানোর সমস্ত বেদনা ভুলে
পাবো ভালোবাসার চরমক্ষণে ।
*** ডাইরির পাতা উল্টালে অনেককিছুই বেরিয়ে আসে । পুজোয় ঘরদোর পরিষ্কার করতে গিয়ে ১৯৯১ সালের ডাইরি পেলাম । আবিষ্কার হলো আমার প্রেমপত্র । ওই সালেরই দুর্গাপূজায় ২৪/ ০৯/ ১৯৯১ এ রাত্রি ১১ টায় লেখা । তখন সদ্য যুবক । প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি । প্রেম করছি কৃষ্ণচূড়ার তলে দাঁড়িয়ে । কবিতা লিখে প্রেমিকাকে পাঠিয়েও দিচ্ছি । আর সৃষ্টি হচ্ছে নিত্যনতুন । আনন্দ আর আনন্দ ......
এখন পড়লেই কেমন বোকা বোকা মনে হয়। যাকগে, আমার ঊনত্রিশ বছর আগেকার প্রেমিকা এখন আমার স্ত্রী । সাতাশ বছরের সংসার । তবে যা লিখেছিলাম তার কিছুই করতে পারি না । সব মিথ্যে মনে হয় ।
হুবহু প্রকাশ করছি .....