হঠাৎ ষ্পর্শে চমকিত হলেম,
ঘাড় ফিরিয়ে দেখি,
যুবতী তরুনী এক হেঁটে চলে যাচ্ছে আপন গতিতে.
কিন্তু আমি যে পূলকিত হলেম!
মনে মনে ভাবলেম;
ও যদি আমার কাছে আর একটু সময় থাকত...
ও এল.
আর-ও একটু সময়,
ও এল.
একটা সময় ভাবলেম;
ওকে যদি কোন নির্জন জায়গাতে পেতেম,
ও এল.
এক্কেবারে নির্জনে,
একটা ঘরের এদিকটাতে আমাকে বসিয়ে দিলে,
আর ওদিকটাতে ও, দাঁড়িয়ে.
আহা কি রুপ!
নিটোল নিত্বম্বের উপরিভাগে,
তরঙ্গায়িত কটিদেশ.
তাহার উপরে,
নিশাচরের দুই চক্ষুর মধ্যবর্তী সুষ্পস্ট যৌবন রেখা.
তাহার উপরে,
পাকা কমলা লেবুর কোয়া দুটি ঠাসা.
তাহার উপরে,
অবিন্বস্ত কেশর রাজির মাঝে,
দুটি হরিণ চোখ.
ও ওর মধ্য-রুপ উন্মুক্ত করতে শুরু করেছে.
এদিকে আমার শরীরে লাভা স্রোত বইতে শুরু করেছে.
কিন্তু , ও যেন স্থির হয়ে গেল!
আমার দিকে এমন অপলকে তাকিয়ে আছে কেন?
ও কি পাষান হয়ে গেল না কি?
এদিকে আমি,
শীতল হয়ে যাচ্ছি কেন?
আমার হাত, পা, শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে কেন?
আমার চোখটাও খোলা রাখতে পারছি না.


যখন চোখ খুললাম,
তখন দেখি;
আমার কপোল ষ্পর্শ করে আছে ওর দুটি ঠোট.
ও বললে;
আসলে, তুমি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলে,
আর আমি ও খুব ব্যস্ত ছিলাম.
তাই তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে,
আমি চলে গিয়েছিলাম,
এখন চলে এসেছি,
সকল সময়ের জন্য.
        ..........