আমি কঙ্কাল, অতিকায় মানবের কঙ্কাল,
যদিও ছিলেম ক্ষনকাল.
সব্বাইকে মেরে, কেটে, জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে,
সবার খাদ্য কেড়ে নিয়ে,
আমি হয়েছিলাম অতিকায় মানব,
একাকী মানব.
বিজয় নিশান উড়িয়ে করেছি আস্ফালন.
দেবতার পূজা বেদী কাঁপিল থর থর.
এমনি সময়ে সারা আকাশ ভরিল আলোকচ্ছটায়,
ঝাঁকে ঝাঁকে উল্কা আসি করিল ক্ষত বিক্ষত আমায়.
পাথরের স্তুপের মাঝে আমি,
ছাড়ি মোর প্রান,
আমি কঙ্কাল, অতিকায় দানবের কঙ্কাল.


বহু বছর পর,
কঙ্কাল হতে জন্মিল আবার প্রান,
ছোট্ট জীব, উদ্ভিদ, প্রানী,
সবশেষে মানুষ.
আকাশ, বাতাস ভরিল সুরমুর্ছনায়,
বাগানে ফুটিল ফুল,
পাখীরা গাহিল গান.
আর মানুষ!
মহাশান্তিতে বিরাজমান.
কিন্তু কতদিন?
আমি আসি ফিরে ফিরে,
নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে,
আমি কঙ্কাল, বিশ্বব্রম্ভান্ডের কঙ্কাল.
           ............