মায়ের কোলে খেলা করছিল ছেলেটি,
হঠাৎই একটা তীব্র কম্পন,
লন্ডভন্ড হল, হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ল সবকিছু.
ছিটকে গেল শিশুটি,
তারপর সব অন্ধকার-,
মা-মা-বাবা-বাবা-,
কোন উত্তর নেই,
কোন সাড়াশব্দ নেই,
হঠাৎ সবকিছু নিঝুম, শুধু শিশুটির আর্তনাদ ছাড়া.
বহুক্ষন কান্নার পর ঘুমিয়ে পড়ে,
দুদিন পর ধ্বংস স্তুপ সরিয়ে,
তাকে আবিষ্কার করে ত্রানবাহিনীর লোক.
বেঁচে কি আছে!
নাকের কাছে তর্জনীটা রেখে পরীক্ষা করে,
ঠাহর করা যাচ্ছে না.
বুকের কাছে কানটা দিয়ে দেখিত,
না, কোন সাড়া নেই,
হঠাৎ একটা দীর্ঘশ্বাস বক্ষ ভেদ করে!
নিমেষে বুকে চেপে উদভ্রান্তের মতো ছুটতে থাকে লোকটি.
বেঁচে আছে ,ডাক্তারবাবু.
ডাক্তারবাবু, সেবিকা, আয়ার পরম যত্নে,
চোখ মেলে শিশুটি.
চারদিকটা একবার দেখে নেয়,
আবার আর্তচিৎকারে কাঁপিয়ে দেয় ভূধর.
ক্লান্ত হয়ে কান্না থেমে যায়,
শুধু ফ্যাল, ফ্যাল করে শূন্যে তাকিয়ে থাকে.
আকাশ, বাতাস, সূর্যরশ্মি আলতো হাত বুলিয়ে বলে,
ভয় কি; আমরাতো আছি.
          ...........