সকলের আদুরে কন্যা আমি,
সকলে আমাকে চোখে চোখে রাখে,
আমি হাঁফিয়ে উঠি.
ওদের অগোচরে একটু অলস সময় কাটানোর জন্য,
বসেছিলেম পুষ্করিনীর ধারে,
মানব কন্যা রুপ ধরে.
এমনি সময়ে আমাদের রাজকুমার এসে,
আমাকে প্রেম নিবেদন করে বসলে.
আমি কত করে বোঝালাম;
নাগিন কন্যা আমি,
নহি মানব কন্যা.
কিছুতেই শুনলে না,
বললে;
রাজার কুমার আমি,
আমি যাকে চাই, তাকে পাই.
এ কে কোথায় আছো,
একে বন্দী করে প্রাসাদে নিয়ে চলো.
আমি ভয়ে সিটকে উঠলাম,
সর্প রুপ ধারন করে ছুটে পালাবো?
কিন্তু রাজকুমারতো আমার কাছে প্রেম নিবেদন করেছিল.
তাহলে আমাকে বিয়ে করবে,
আমি রাজমহিষী হয়ে যাবো!
ওঃ আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে,
কিন্তু আমি যে নাগিন কুমারী!
সহসা শত সর্প আসি বন্দী করিল রাজকুমারে,
দংশন দংশনে ক্ষত বিক্ষত তাহারে.
আমি চিৎকার করে উঠলাম;
মেরো না, ছেড়ে দাও উহারে.
কেউ শুনলে না আমার কথা,
নিরুপায় দেখে,
আমি সর্প রুপ ধারন করে,
রাগে গর্জাতে থাকলাম.
সকলে রাজকুমারকে ছেড়ে দিয়ে,
আমার কাছে ছুটে এল;
কি ব্যাপার নাগিন কুমারী?
আমরাতো তোমাকে বাঁচাবার জন্যেই ছুটে এসেছিলাম!
আমি চিৎকার করে বললাম;
নাঃ অকারনে বিষ ক্ষয় করে,
তোমরা তোমাদের আভিজাত্য হারিয়েছ.
এই মুহুর্তে এখান থেকে চলে যাও.
সকলে চলে গেল,
ততক্ষনাৎ আবার নারীরুপ ধারন করে ছুটে গেলাম রাজকুমারের কাছে.
আমার কোমল ওষ্ঠাধর বুলিয়ে দিলাম রাজকুমারের সারা শরীরে.
জীবনে এই প্রথম চুমুক দিয়ে কারো শরীর থেকে বিষ টানলাম.
রাজ কুমার চোখ মেলে তাকালো,
সাপ! সাপ! বলে, চিৎকার করতে লাগলো.
ছুটে পালাবার উপক্রম করলো,
বেশি দুর যেতে পারলে না,
হুমড়ি খেয়ে পড়লে.
আমি আবার ছুটে গেলাম রাজকুমারের পাশে,
সযত্নে মাথাটাকে কোলে তুলে নিলাম.
মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললাম;
ভালো করে চেয়ে দেখো রাজকুমার,
এখন, মানব কন্যা, নাগিন কন্যা নহি আমি,
বন্দী করো আমায়.
রাজ কুমার কোন রকমে তার দূর্বল বাহু দুটো প্রসারিত করলে.
          ...........