ছোট্টবেলার ছেলেখেলা,
বন্ধু সনে কতক মেলা.
হাসাহাসি, ছুটোছুটি, লুটোপুটি,
টিফিনের সময়েতে খাওয়ার পরিপাটি.
বুদ্ধি আমার ছিল ক্ষুরধার,
নিমেষে সকল বিষয় করিতাম পারাপার.
ছিলেম আমি সকলের অনুগত,
বেষ্টিত থাকিতাম বন্ধু, বান্ধবী যত.
এমনি একদিনে, হইহুল্লোড় টিফিনে,
খটকা লাগিল মোর হৃদয়ের কোনে;
বন্ধু অর্থে করি প্রতিদিন পেট ভর্তি,
দিই না তো তাদের একরত্তি.
আমি যে নিরুপায়,
বাবার ছিলনা কোন অর্থপার্জনের উপায়.
করলেম চুরি,
ছিল যত কষ্টার্জিত, সোনার ঝাপি ভরি.
খাওয়ালেম যত বন্ধুদের,
পেট, মন ভরিল সকলের.
এক বন্ধু শুধোয়, কি রে উপায়,
এত পয়সা পাইলি কোথায়?
সাধা সাধিতে বললেম সবকিছু,
শেষে তুই হলি এত নিচু!
করুন চক্ষে চেয়ে, আমরা তোর চাইনি কোনো,
বন্ধুত্বের সাধ অপার, অতল জেনো.
ঘরে ফিরি রহি চুপটি করি,
শুনিনু বাবার রুষ্ট চিৎকারি.
কাটিল ঘোর ,ভাঙ্গিল বিভোর,
শুধামাখা দুটি হাত মষ্তকের উপর,
রাখিয়াছে পিতা,
হয়ে সব যন্ত্রনার ত্রাতা.
পূনঃ মনোনিবেশ করিনু পাঠে,
আবর্জনা ফেলিয়া খাঁ খাঁ গ্রীষ্মের মাঠে.
গুটাইনু নিজেকে শামুকের খোলকে,
খুলিলনা আর বন্ধু, পিতামাতার আশ্বাসের মোড়কে.
দানিতে নারিনু একটি পয়সা ভিক্ষুকের করে,
পাছে নুইয়া পড়ি, মিথ্যা পরিচয়ের ভারে.
ক্রমে বাড়িতে লাগিল ভূলের পাহাড়,
ব্যর্থ হইল ঘন কালো মেঘের আষাড়.
জলাঞ্জলি দিলেম মোর সবকিছু ,
স্নেহ, মায়া, মমতা আমার যা কিছু.
কালো পাহাড়ের শিখরে উঠিনু ছুইয়া আশ্মান,
তাইতো আমার চিতা আজও চির বহ্নিমান.
              .........