নিঃসঙ্গ জীবন, পাশে নেই কেউ,
হাসিয়া খেলিয়া বেড়ায় অবাধ্যতার ঢেউ.
নৈরাশ্য শুষিয়া লয় হৃদয়ের শেষ রক্ত বিন্দু,
হস্ত প্রসারি খুজিয়া না পায় অপার সিন্ধু.


একাকি মন খুজিয়া বেড়ায় আকর,
কোথা আছে সেই পরশ পাথর!
ক্ষনিকের তরে পামীর গ্রন্থী পরে,
লয়ে দৃষ্টি ক্ষীন আনিনু আপনারে.


বৃক্ষরাজি সমাসীন, বৃক্ষ তলে আসিন,
প্রেমিক, প্রেমিকা কায়মনে আলাপন.
বসি এক বৃক্ষতলে, মুদি নেত্র দলে,
ত্যাজিয়া মোহ , মায়া প্রবেশিনু অতল তলে.


চমকি ভাঙ্গিনু ক্ষনিকের বিহ্বলতা,
কোলের বস্ত্র করি উচ্ছিষ্ট , বিষ্টা
পরিত্যাজী বৃক্ষ শাখের ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী,
মগ্ন সুখে রহিল আপনার সাঁতলামি.


হায়! খেচর, পরিশেষে তুমিও পরিহাসে,
সামিল মোর কঙ্কালের নিঃশেষে.
ওহ! তুমিও করিছ বিদ্রুপ হেরিয়া
মোর অবস্থায়, অক্লেশে রহিয়া.


আলতো পরশে চমকি দেখি, গভীর নিরীক্ষনী,
ক্ষনে, ক্ষনে সম্মুখি, রুপ পরিবর্তনী.
কখনো পরিহাস, কখনো গভীর আশ,
বাহিরের ঝড়ে, স্থবিরতা আছরিয়া পড়ে.


সময় হয়েছে-, দিনান্তের দিবাকর,
দেখায়েছে প্রস্তর খন্ড পথের উপর.
জানাইনু বিদায় পাশের মোনালিসায়,
ক্ষনিকের শুষ্ক মরুদ্যানের নিশায়.


প্রবেশিনু প্রবেশ দ্বারে,
দেখি পথ, সরায়ে কুজ্ঝটিকারে.
চলিয়াছে অনন্ত পানে, চললেম,
তবে একা নয়, সাথে আছে প্রেম.
           ..........