হেলান দিয়ে বসেছিলাম পার্কের একটি বেঞ্চে,
একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য.
সামনে একটি স্ফটিকের নারীমূর্তি,
অপরুপ ভঙ্গীমায় দাঁড়িয়ে আছে.
কোন শিল্পী এমন করে বানিয়েছে গো !
সকলে আদর যত্ন করছে,
কেউ চুম্বন করছে,
কেউ কেউ আবার ক্যামেরা বন্দি করছে.
আমিও লোভ সামলাতে পারলাম   না,
চলে গেলাম মূর্তিটার পাশে.
তার গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে আবেগ বশতঃ একটা চুম্বন করে বসলাম.
চমকে উঠলাম,
নাড়ীর স্পন্দন !
আবার একবার চুম্বন,
হ্যাঁ ধমনীর স্পন্দন!
যেখানে হাত রেখেছিলাম,
সেখানে দেখিতো,
নাঃ কোন স্পন্দন নাই !
আমি উদভ্রান্তের সারা শরীর অবিরাম চুম্বন করতে থাকলাম.
পুরো শরীর জুড়ে প্রানের জোয়ার বইয়ে দিলাম.
পাগল হয়ে গেলাম,
আমার যা কিছু দুরে ছুড়ে ফেলে,
মূর্তীটাকে জড়িয়ে ধরলাম,
জ্ঞ্যান হারালাম.
যখন জ্ঞ্যান ফিরল,
তখন দেখি,
শত রজ্জুতে বন্দী হয়েছি আমি.
আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,
বিচারের জন্য.
এমন সময় পিছন থেকে কে যেন বলে উঠল,-
দাঁড়াও,
এ মূর্তী আমি তৈরি করেছি,
কোথায় নিয়ে যাচ্ছ ওকে ?
ঘাড় ফিরিয়ে দেখি,
মূর্তীর বদলে শিল্পী নিজেই দাঁড়িয়ে আছে.
আমার গায়ে আলতো ষ্পর্শ বুলিয়ে,
তার বহুমূল্য উত্তরীয় জড়ায়ে দিলে মোর গায়ে,
সঙ্গে ছোট্ট একটি চুম্বন.
আমি ঝাপসা চোখটা মুছে নিয়ে,
শিল্পীকে দেখার চেষ্টা করলাম.
পেলাম না,
দেখলাম,
সেই পাষানমূর্তীটাকে.
       ...........