জন্ম লইনু ছা-পোষা ঘরে, অস্থি-চর্ম সার,
তবু সন্তান তো -
স্নেহ, মায়া, মমতায় দেহ হইল ভার.
বাল্যের যৎকিঞ্চিৎ শিক্ষা লাভ শিক্ষায়তনে,
উদ্দাম কৈশোর পেরিয়ে, প্রবেশিনু উচ্ছ্বল যৌবনে.
নারী সঙ্গ লাভে হইল মন উচাটন,
কৌশলে করিনু পিতামাতার দৃষ্টি আকর্ষন.
চলিল অনন্বেষন, আসিল একে একে নারী,
কিন্তু হায়, কি আছে আমায়, নারী মন লভিবারি.
তবু সন্তান তো-
আসিল আবার নারী,
        সঙ্গে বিদ্রুপ-, না-,
             বাড়িল একটি হৃদস্পন্দন.
তবু সন্তান তো-
আরও একজন,
        সঙ্গে অট্টহাসী-, না-,
        বাড়িল আরও একটি হৃদস্পন্দন.
তবু সন্তান তো-,
        ধমকি পিতামাতায়,
        মোর জীবন রহিবে নারীশূন্য জীবন.
তুচ্ছ করি পিতামাতার কাতর অনুরোধে,
পা বাড়াইনু অর্থান্বেষনের পথে.
চাই শুধুই অর্থ, অর্থ, অর্থ,
অর্থ ছাড়া জীবন নিরর্থ.
কঠোর পরিশ্রমে এখন আমার চারিদিকে শুধুই অর্থ,
অর্থ স্তুপের মাঝে রচনা করিনু জীবন চরিতার্থ.
তবু সন্তান তো-
আবার পিতামাতায় শুধোয়-,
না, না, সময় নাহি মোর নারী চিন্তায়.
গভীর দূঃখে পিতামাতা মোর মুদিল নয়ান,
বসুন্ধরা মাঝে করাইনু চিরশান্তিতে শয়ান.
ক্ষনিক স্তব্ধতা পরে,
মজাইনু আপনারে,
শত লোক লস্করে.


ক্রমে সময়ের সাথে সাথে,
যৌবন প্রবেশ করিল বার্ধক্যের পথে.
আমার ও আসিল চির বিদায়ের ক্ষন,
লোক লস্কর প্রানপন করিতেছে সেবা যতন.
কেহ করিছে চামর ব্যাঞ্জন,
কেহ মুছিয়া দিতেছে আঁখি কোনের স্বপন.
কিন্তু না, মোর আঁখি ধাইতে চায়,
ওই নীল আকাশ পানে.
সকলি থামিয়া যায়,
মোর অর্থ প্রাসাদের কড়ি কাঠের কোনে.
শেষ রশ্মিচ্ছটায় দেখি,
দাঁড়ায়ে দ্বার প্রান্তে ওই,
হাতে লয়ে অনন্তের দিশারী,
যারে আমি চেয়েছিনু এতদিন ধরি,-.
           ...........