তিন দিকেতে সাগর ঘেরা,
               উত্তুরেতে হিমালয়.
পাহাড়, নদী, খনিতে ভরা,
               বৈচিত্রে মহিমাময়.
যে জন আসে হেথায়,
               ফিরিয়া নাহি যেতে চায়.
সে যে আমার স্বপ্নপুরি,
               দেব, দেবীদের মায়া পুরি.
প্রকৃতির অপার স্নেহ,
               ছিন্ন করিতে নাহি কেহ.
কৃষ্না, কাবেরী, গঙ্গাজল,
               উল্লাসে করে ছল ছল.
বহি চলে উদ্দাম গতিতে,
               সন বৎসরে ভরি ফসলেতে.
সাগর থাকিতে নাহি দুরে,
               আছড়িয়া পড়ে শৃঙ্গ পরে.
নামাইয়া আনে তার সব,
               মুক্ত করে জঞ্জাল শব.
গজাইয়া উঠে শৈশব,
               স্ফিত হয় ভান্ডার বৈভব.
শুধু পশ্চীমেতে চিমটিকাটি,
              করে ছোট্ট বেলার খুনসুটি.
যমজ ছিলি তাই,
             তোরই সোদর ভাই.
কিছুই মনে করিসনে মা,
            আছে তো তোর অপার স্নেহা.
আলতো গালে হাত বুলিয়ে,
           দিবি যে তার প্রান চুমায়ে.
বনিক ইংরাজ গেল রাজত্ব করি,
          দুশোটি বছর রাজত্ব করি.
তারে কি তুই দিলি ফেলি,
         পারলি থাকতে ভুলি ?
তোরই হৃদয় কোহিনুরী,
         রাখিয়াছে সে কত যত্ন করি, মস্তকপরি.
ভয় কি মা তোর,
         বাম পাশেতে আছে সোদর.
কোলে রেখেছিস তারে,
         চিরকালের তরে.
দুই কাঁধেতে দুইজনে,
         সদাই আছে তোর সনে.
পায়ের কাছে খেলা করে,
         থাকতে নারি ঘরে.
রুপের কথা কি আছে বলার,
         চোখ ধাঁধিয়ে দিসযে সবার.
তারই পায়ে রইল আমার,
         হাজারো নম্র নমষ্কার.
           ...........