নিজের ভেতরটার সঙ্গে হারতে হারতে ক্লান্ত আজ
বারবার তবু নামতে হচ্ছে অসংখ্য খণ্ডযুদ্ধে
আর বুনে যাচ্ছি হারের হার প্রত্যহ।
আপোসের নামে নিয়তির দোহাই দিয়ে
নিজেকে বদলে দিচ্ছি বারবার অন্য রুপে
আর জিহ্বার তালুতে উঠে আসা সত্যের কণ্ঠস্বর
চেপে ধরছি বারবার ভয়ার্ত অসহায় হাতে
শুধু বেঁচে থাকবার অদম্য বাসনায়।
কিন্তু কেন এই বেঁচে থাকবার অভিনয়?
জীবন আর মৃত্যুও পার্থক্য কী তবে
দুষিত বাতাস টেনে বাঁচিয়ে রাখা
লোভি হৃদপিণ্ডটাকে।
এভাবে আর কত দিন গলিতে শ্বাস নিয়ে
চেপে ধরে থাকবো নিজেরই হৃদস্পন্দন।
খুব শিঘ্রই আমার নিজের লোভের হাতের নিচে
ছটফট করতে থাকা সত্যের শ্বাসনালীটা
এক ঝলক তাজা হাওয়ার তরে উন্মাদ হবে
আমার আপোসের হাত যতই চেপে ধরুক
বিবেকের কণ্ঠনালী, আটো করুক সাড়াশির মতো
বুকের ভেতর থেকে এক ঝলক তাজা রক্ত
সমস্ত জাগ্রত শিরা বেয়ে সাড়াশির বাধন ছিড়ে
বেরিয়ে আসবে মুখে বুদ্বুদ তুলে।
কালচে রক্তের প্রতিটি বুদ্বুদ বাতাসে মিলিয়ে
সত্যের রেনুকণা ছড়িয়ে দেবে বদ্ধ স্বদেশের বাতাসে।
মুক্তির শেষ নিস্বাস শেষে বদ্ধ বাতাস ছাড়িয়ে
উঠে যাবো আকাশের ঠিকানায়।
ধ্রুবতারা হয়ে দেখবো মুক্ত স্বদেশ।