শালবনে লালমাটির ধুলোয় ভাসে
সহস্র বছরের পুরনো কোন ঘ্রাণ,
গুঞ্জরী ফুল আমোদিত করে শুকনো বাতাস,
শত বছরের পুরনো গুড়িতে জমা শ্যাওলার ইতিহাসে
খুঁজি বনদেবীর সন্ততীদের।
ঘন বিটপীর ছায়ায়-
হেঁটে আসে সাঁওতাল রমনী,
কাঁধে তার আাঁটিবাধা বনদেবীর আশির্বাদ,
কোমরের পুতির বিছায় বাজে
বিশাখার কোমল গানের সুর,
বনছায়ায় ঢাকা পবিত্র জলের আয়নায় ভাসে
দেশাখের ফেলে যাওয়া হাড়িয়ার খোলা,
সরল মাতালদের মুখগুলো আঁকা-
শুকনো পাতার খাতায়।
মহুয়ার ঘ্রাণে ঘুম ছুটে যায়
রক্তে সুপ্ত কণিকার,
অরণ্যের উদ্দামতায় টানাটান বহুকালের শিথিল পেশি।
সহসা বাধা পায় সভ্যতার খসখসে পোশাকে,
দ্রুতপদে ছুটে যায় সাঁতাল শিশুর দল
কুমারী অরণ্য ডাকে, এসো।
আমি ধরি সড়কের পথ,
ধীরে শিথিল হয়ে আসে পেশির উত্তেজনা
আবার ঝিমিয়ে পড়ে রক্তের লুকানো কণিকারা।
দূরত্ব বাড়ে ক্রমে প্রকৃতির সাথে
নগরীর ধুলো ঢোকে খুলির ভেতর।