তরঙ্গিনী নদীর মতন বয়ে চলে রাত,
নিঝুঁম নৈশব্দের বুকে কালো কালো বাঁকে
কত উপকথা লেখা হয় রোজ।
প্রথম রাত্রির আঁধারে শোনা যায়
টুক টাক কিছু কথা , কুপিতে আলো জ্বেলে
কুটিরের দোরে অপেক্ষায় সমিরন বিবি,
হাটুরেরা ঘরে ফেরে, আসে পান সুপারি।
তারপর সুপারির শাখা দোলা বাতাসে,
টিমটিমে আলো নেভে এক দমকায়-
অন্ধকারে মিশে যায় কিছু টুকটাক কথা,
কিছু  দির্ঘশ্বাস আর ফোঁস ফোঁস
আরো গাঢ় করে অন্ধকার।
আঁধারের রাজত্ব চলে ...
তারপর বাঁশবন থেকে নেমে আসে জোনাকিরা
ভালোবেসে আলো জ্বালে
রাত হয় কোমল সুন্দর
ঠিক যেন প্রেমিকার চোখের মতন।
এই রাত বড় ভালোলাগে উদাস বাউলের
হৃদয়ের একতারা সুর তুলে
গাঢ় অন্ধকারকে জাগিয়ে রাখে।
তারপর আসে ভোরের শিশির
কালো রাত্রের বুকে শিশিরের আলো পরে
রাত্রি তখনই কেবল ঘুমায়।
তবু তখনো জেগে থাকে- নিশাচর দুঃখবিলাস।