একসাথে চোখ ও মনের তৃপ্তি পাওয়াকে
সৌন্দর্য বলে জানতাম ।
ইন্দ্রনীল কে বলেছিলাম-
সুন্দর কাকে বলে ইন্দ্র, জানিস না-কি ?
ও উত্তর দেয়নি ।
সিগারেটে দীর্ঘ টান দিয়ে ঘর অন্ধকার করে
ধোঁয়ার কুন্ডুলী ছেড়ে কেমন করে যেন হেসেছিল,
অতি অপার্থিব সেই হাসি ।
নিকোটিনের অস্বস্তিকর মিশ্রণ যখন চার পাশে
মুক্ত পাখির মত ডানা মেলে উড়ছিল
তখন অনেকটা বাধ্য হয়েই সিলিং ফ্যানের সূইচ
টিপে দিলাম । ও বললো, ছাড়িস না-
চোখ বন্ধ করে চেয়ে থাক ।
পাগল একটা, “চোখ বন্ধ করে চেয়ে থাক ।”
অনেক দিন ইন্দ্রনীলের সাথে আর কথা হয়নি ।
আমি কিন্তু এখনো চোখ বন্ধ করে
তাকিয়ে দেখি- বিদঘুটে নিকষকালো অন্ধকার ।
ঠিক যেন মাতৃগর্ভ । এক বিন্দু আলোক রশ্মি যেখানে
ক্রমে সূর্যে পরিণত হতে থাকে-
বড় অসাধারণ, বড় অপার এক মহিমায় ।
জটিল এবং কঠিন অন্যরকম এক ভালো লাগার খেলা
মাথায় ঢুকে দিয়ে হাওয়া হয়ে গেল, ইন্দ্র ।
এখন আর আলোতে নয়-
অন্ধকারে সৌন্দর্য দেখি ।
ইচ্ছে করলেই শৈশবে ফিরে যাই দু‘চোখ বন্ধ করে-
ফেলে আসা স্মৃতির জলে স্নান করি অন্ধকারে ।
ঝিমিয়ে পড়া সূর্য জাগাই দু‘চোখ বন্ধ করে-
রাতের রজনীগন্ধাদের সাথে মমতার কথাবলি অন্ধকারে ।
মাঝে মাঝে প্রলাপ বকি, সেও দু‘চোখ বন্ধ করে-
পৃথিবীর সব ভালোলাগা নিমজ্জিত বোধহয় অন্ধকারে ।
ইন্দ্রনীলের কথা মত তাকিয়ে আছি দু‘চোখ বন্ধ করে ।
হয়তো জীবনের শেষ অব্দি পর্যন্ত ।