শীতল শ্রাবণে লেগেছে আগুন-
ফাগুন এখনও দূরে মাঘ কুয়াশার চেয়ে গাঢ়,
অভাগিনী! তুমিও থেকো নন্দিনী
অলঙ্কার ভেবে ঘোর আড়ম্বরে
অবনত-শিরে থাক কলঙ্কের ভার ।
কলঙ্কে কে আর পুড়ছেনা বলো-
রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে
ক্রমান্বয়ে কুলি-মজুর, বেনিয়া, বেশ্যার ঘর,
অরম্বা, সেওতো রোজ কলঙ্কেই জ্বলে
আপন স্বজনও যেখানে নিমেশেই পর ।
কলঙ্কেই বেশি ভয় তোমার-
অনেকটা হাস্যকর হলেও
উদিয়মান সূর্যের মত এটাই ধ্রুব সত্য জানি,
কলঙ্কেই শুরু মানব সম্প্রদায়
অকলঙ্ক বিকিয়ে তাই কলঙ্কই কিনি ।
এ নেশা রক্ত কণিকায় প্রবহমান-
এটা কি এতটা সহজ, নন্দিনী
জনম জনমের অঙ্গীকার ভেঙে নতুনত্ব আনা,
তোমাকে রেখে যাও নিরুদ্বিগ্ন
শোধ হোক সৃষ্টি রহস্যের দেনা ।
চারপাশে অরিফ্ শুভ্রত্বের জয়গান-
অভ্যন্তরের খবর তুমিও জানো
ইঞ্চি ইঞ্চি দোষে-দুষ্ট পানুই প্রতিটি পায়ে পায়,
অভাগিনী! তুমিও থেকো নন্দিনী
আমার সাথে, কলঙ্ক মেখে সারা গায় ।।