গোপন চিত্রনাট্যটি অঙ্কুরেই বিনাশ হবার কথা ছিলো ।
নিতান্ত তাচ্ছিল্যে পরিচারিকা দুঃসাহস দেখালেন-
স্ক্রিপ্টে নতুন কিছু দৃশ্যপট সংযোজিত হলো ।
আর সেটাই ‘কাল্’ হয়ে দাঁড়ালো-
শুরু হলো নিষ্করুণ এক দুর্বোধ্য অধ্যায় ।
প্রযোজক মহোদয়দের দৃষ্টির অগ্নিস্ফুলিঙ্গে
প্রায় ভস্মীভূত হওয়ার অবস্থা ।
অঙ্কুশতুল্য বিশ্লেষণে সাফ সাফ সমনজারি এলো
এটাই শেষ-
এরপর কাক্সপ্যাঁটরা গোটাতে হবে- সোজা প্রত্যাবর্তন ।
পরিচারিকা ভয় পেলেন না;
নিত্যদিনের সংলাপে সে অভ্যস্ত ।
শনিদৃষ্টির লেজ ধরে ক্রমান্বয়ে ঘূর্ণিঝড়, খরা পেরিয়ে
ঘনাবৃত আকাশ এখন অনেকটা পরিচ্ছন্ন, বিশ্রান্ত ।
সেই গোপন চিত্রনাট্যটি এখন দুর্নিবার-
নির্বিঘ্নতায় ‘স্ট্র্যাটোলঞ্চ’ নিয়ে বীর‘দর্পে
আকাশ কাঁপিয়ে মহাকাশ থেকে মহাকাশে ছুটে বেড়ায় ।
সেই গোপন চিত্রনাট্যটি এখন গর্বোজ্জ্বল-
মহানায়কের মতই নিরঙ্কুশ বিচক্ষণে রাষ্ট্র শাসন করে ।
সেই গোপন চিত্রনাট্যটি এখন ঈশ্বরীয়-
বৈদগ্ধ্যতায় অস্ত্রোপচারে নিধন করে দুরারোগ্য ক্যান্সার ।
অথচ তাঁকেই কি-না অঙ্কুরেই বিনাশ করার
গোপন ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো ।
তবু সমাজতত্ত্বের বাঘবন্দি খেলায় তুমিই জিতে যাও !
তোমাকেই-তো জিততে হবে-
তুমি যে পুরুষ !!!