অবাক পৃথিবী,
হতাশ বেকার, নিস্তব্ধ,নিথর,র্নিঝুম,
গভীর রাত্রি, ঘোর অন্ধকার, ঝিঝি পোকা র্নিঘুম।
দিনের অভয় বার্তা নিয়ে বেড়িয়ে আসে রবি,
অবাক পৃথিবী,
কর্মহীন জীবন নিয়ে হাজারও বেকার হুমড়ি খেয়ে পরে গ্রামের মেঠো পথে,
শহরে পারি জমায়, কর্মখোঁজে কর্ম নেই, হতাশ জীবনে আঁকে সাদাকালো ছবি,
অবাক পৃথিবী,
থেমে যায় জীবনের নানা আয়োজন,হৃদয়ের ডাষ্টবিনে পরে রয় হাজারও সপ্ন,
টাকা কড়ি বিনে কর্ম জোটেনা, পাথর হয়ে বসে রয় যুবক,
বাবার কাছে জমি বন্ধকের করে দাবী,
অবাক পৃথিবী,
আছে শুধু মাথা ঠেকানোর সামন্য সিমানা, পালের গরু, অথবা ছাগল বিক্রি করে,
ছেলের হাতে টাকা তুলে দেয় বাবা, কিছুদুর যেতে না যেতেই নিশ্বেঃষ হয় টাকা,
কর্ম জোটেনা, হৃদয় ক্ষর, বিদ্ধস্ত,মুরুভূমি, বিবেক নাড়া দেয় কত কাল বসে রবি?
অবাক পৃথিবী,
সপ্ন গুলো ধুয়ে যায় অশ্রু জলে,
দুশ্চিন্তার বোঝা নিয়ে নির্ঘুম রাত্রি করে পার, প্রভাত হলেই কর্মের সন্ধানে যাবে,
আশা বেঁধে বুকে- ভাবে বার বার, কর্ম এবার হবে,
কর্ম কোথায়, কর্ম নেই , পথ, ঘাট, ব্যাস্ততা, ঢের পরে আছে সবই,
অবাক পুথিবী,
আজও হাজারও যুবক,বস্ত্রহারা, বন্ধন ছেঁড়া, সপ্নে ঘেরা
হতাশ হয়ে ফিরে আসে বার বার,
বাবা মার কাছে মুখ রয়না টাকা চাইবার।
শতচেষ্টার পরেও পায়না সে কর্ম,
হতাশ জীবনে দুরে ছুঁড়ে ফেলে ধর্ম।
হাতে তুলে নেয় অস্ত্র, মরচিকার মত পরে রয় শিক্ষার সকল বীজ,
নতুন জীবন শুরু করে তারা, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী-মানুষ খুন করা।
নাহি মানে সভ্যতা, হারিয়ে ফেলে বিবেকের চাবি,
অবাক পৃথিবী,
সমাজে নেমে আসে ঝড়, ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে হাজারও যুবকের মাঝে,
তারা হয়ে ওঠে অগ্নীশিখা, বিদ্রোহ করে সভ্যতার।
পাল্টে যায় জীবনের গতি, রাজনৈতীক দলের হয় সাথী,
প্রশাসন হয় নিশ্চুপ, গড়ে তুলে অবৈধ অর্থের পাহাড়,
কোন এক দিন শিতল দেহ, পড়ে রয় কোন খানে,
নিভে যায় সবই……………….
অবাক পৃথিবী, অবাক পৃথিবী, অবাক পৃথিবী।
------------------
কারিমুল হাসান লিখন
সরুগ্রাম,ধুনট,বগুড়া।