ছন্দ, তুমিতো দ্বন্দ্ব বাঁধাও দুঃখী নদের কাব্য লেখাতে
স্কুলের পাঠ চুকিয়েছি সেও শুধু তোমার অভাবে
আশা ছিল খেলোয়াড় হব, জগৎ জুড়ে নাম কুড়াবো
সেখানেতেও তোমায় ছাড়া, ফাউল করে যে ভাঙলো পাটা!
স্বপ্ন ছিল প্রেয়সীকে নিয়ে ঘর বাঁধব পাহাড় চূড়ায়
সেথাও মোর পোড়া কপাল! কর্ম দোষে ভুগিছে গোপাল
তুমি বিহনে ঘুরতে গিয়ে, হামি খেয়েছি যেই না গালে
সপাট করে চড় যে মেরে, চলে গেল আমায় ছেড়ে ।
বাপের হোটেলে খাচ্ছিদাচ্ছি, হেলেদুলে চলছিলো বেশ
বসে বসে আর কতকাল! কথার সাথে চোখ রাঙানি।
সেটাও বেশ ভালোই ছিল, মায়ের স্বান্তনা সাথে ছিল।
ওটুকু সুখ সইলো না মোর! কাজ করবি নয় বাড়ি ছাড়বি,
বাপের ধাতানী বাঁধ ভাঙলো, মায়ের নয়নে অশ্রু ঝরলো।
সেই না দুঃখে বাড়ি ছেড়েছি, পোশাক শিল্পে যোগ দিয়েছি,
সেখায়ও হয়েছি ছন্দ ছাড়া,তাইতো আমার কবিতা লেখা,
সেটাও আর হবে না বুঝি,তাইতো কাঁদি আমি দিবারাতি!


অমিল অক্ষরবৃত্ত:১০+১০