কৃষ্ণচূড়া  তুমি বৈশাখের খরতাপেও কিভাবে প্রচণ্ডভাবে হাসো ?
আমিতো অতি ক্ষুদ্র চাপেও হয়ে পড়ি দিশেহারা- ফেটে চৌচির।
তোমাকে এভাবে হাসতে শেখালো কে, আমায় বলতে পারো?
রৌদ্র যত প্রখর হয়, তোমার হাসিতে তত মুক্তো ঝরে।
আর আমি ?
অপমানের গ্লানিতে বেশামাল, বৈশাখি ঝড়ে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার।
তোমার কষ্টের ঢেউগুলো কোথায় লুকিয়ে রাখ, বল তো?
আমি শিখতে চাই তোমার হাসির গোপন রহস্য।
তোমার আগুন ঝরানো হাসির পানে আমি চেয়ে থাকি অপলক।
তোমার সৌন্দর্যকে আমি হিংসা করি, ঈর্ষায় পোড়ে মন।
তুমি নির্বিশেষে সবাইকে বিলিয়ে দাও অকৃপন চোখ জুড়ানো প্রশান্ত
কর্কশ কাকগুলো তোমার ডালে বসে, তাতেও তুমি সমান সুন্দর।
ধৈর্য্য সকল তোমার বাড়ি ,  অধৈর্য্যরা সব আমায় তাড়া করে ফেরে।