সে এক আজব গোরস্থান !
যেখানে শবদেহগুলো চলেফেরে, খায়-দায়- ঘুমায়,
মাথার উপর বিষ্টা ফেললেও কিছু না বলে মুছে ফেলে,
আবার গন্তব্যে ধায় !
শবদেহগুলো নাদুসনুদুস, পোষাকেও মার্জিত বেশ;
মুখ দিয়ে বের হওয়া শব্দগুলোও বেশ সুরেলা, উপদেশবাণীতে ভরা।
তবে মজার বিষয়-
অন্যদেরকে নির্যাতিত হতে দেখলে না দেখার ভান করে এড়িয়ে যায় তারা,
নিজের কন্যা-জায়া-জননী ধর্ষিত হওয়ার আগ পর্যন উহ্ শব্দটি পর্যন্ত করে না;
চরম দূ্র্গন্ধযুক্ত কঙ্কালগুলোকে তারা বানিয়েছে প্রভূ !
মল লেপ্টে সৌন্দর্য বাড়ানো কঙ্কালগুলোকে দেখে তারা ভয়ে থরথর কাঁপে,
মাথা নিচু করে, করে কুর্ণিশ, মুখে তোষামোদির বুলি আওড়ায়।
কৌশলী আলখেল্লা পরা কঙ্কালগুলো এই সূযোগে বিত্ত-বৈভব লুটছে ইচ্ছেমত।
কিছু শবদেহ মাঝে মাঝে করে বসে বিদ্রোহ, মানুষের দুনিয়ায় ফিরে যেতে চায়,
প্রভূরা কি আর বসে থাকে,
ঢাকঢোল পিটিয়ে তাদেরকে হয় হত্যা করে, নতুবা দেয় সাজা ।
এভাবেই চলতে থাকে, চলছে-
তোষামোদির তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সূর্যের আলো থেকে নিরাপদে থাকে-
লাবণ্যময়ী শবদেহগুলো।