সে পর্যন্ত ভাববার আর অবসরই মিলল না। আমি রইলাম নৌকোয় তুমি ডুবসাতারে। গভীর শ্বাসেরা কি করে তোমাকে ঘিরে রাখে জানা গেলে আমিও ডুব দিতাম। আমি ও জানতাম, জলের তলায়, ছলায় কলায় কি করে বেধে রাখা যায় মুক্তো দানা।


রোদ পেরিয়ে দিগন্তে গেলে ছায়াটা বিরক্ত করে, শরীর ছেড়ে চলে যেতে চায় বহুদূর। আমি কত বলি, এই তো শ্বাস ফুরোলে, ডুবসাতারের পর ঠিক মাঝরাতের আগে সে উঠে আসবে নৌকোয়।
রুপালী জ্যোছনায় তার ঝিকমিক করা আঁশে চাঁদ বিক্ষেপিত হবে।


"এ সবই কল্পনার কথা, সত্যি হচ্ছে তোমার নৌকোর দাড়ও নেই যে তুমি বাইবে আর সে যে উজানে ডুবে ভাটায় উঠবে না তার কি নিশ্চয়তা" ? আমি তাই স্তব্ধ বসে শুনি, আমার ছায়ার কথা।


এখন মাথার উপরে দ্বিপ্রহরের সূর্য। কত বলি, এপাশ ওপাশ না ঘুরে তো আমার মাথার উপর ও জুড়তে পারিস। কে শোনে কার কথা। আমার নিমগ্ন ছায়াও চতুর্পাশের প্রখরতায় আমাকে প্রবঞ্চনা করে। কি পরিহাস !


জলের তলায় কি ছায়া পড়ে ? জলের তলায় কি থাকে স্নিগ্ধ তাপমান ? আমাকে রেখে এই দ্বিপ্রহরে তুমি কোন জলায় জ্বলো, বলো ?