চোখের জলের নদী শাসন মানে না
শাশ্বত নিয়মে স্রোত ধারা বয়ে যায়
কোন বারণ শোনে না
যদি না ভালবাসায় আগলে রাখা যায় ।


যৌবনে অতি শয্যায় কাটিয়ে জীবন
জড়ায় জড় এখন সবাই বলে অবসর জীবন
আমি বলি কর্ম ক্ষেত্র বেড়েছে এখন
উৎসে বীজের অঙ্কুর ছিল
আজ মহীরুহ শাখা প্রশাখার কত
সকল কর্মের অগ্রযাত্রায় অঙ্কুর তারই উৎস ।

পৃথিবীতে আসে একা সেতু বন্ধনে
একদিন সব ছিন্ন করে পরকে জড়িয়ে নেয় আপন করে
তার প্ররোচনায় ভুলে যায়, ভুলে যায় সব মায়ার বাঁধন
করেছে কত যতন, সচ্ছল না থাকিলে
সব কিছু যাতনা মনে হয়
বাঁধ ভাঙ্গা চোখের জল আসে তখন ।


বিন্দু থেকে প্রসারিত যে স্তম্ভে দাঁড়িয়ে
চর্ম আচ্ছাদনের অভ্যন্তরে প্রবাহিত কণিকাগুলো
সচল সতেজ রাখে বাহ্যিক অবয়বের অঙ্গ শোভায়
তবে কি করে অবিচ্ছেদ্য অংশ ছুড়ে ফেলে
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ছুড়ে ফেলে বৃদ্ধ আশ্রমে
যেখানে সবাই দুঃখের ভেলায় চড়ে এসে হয় সমবেত
তাদের মৌন বদন বলে দেয় মর্মস্পর্শী অব্যক্ত কথা
আশ্রমের চেয়ে ও পীড়াদায়ক, সাহচর্যে বিরূপ আচরণ
কেউবা আশ্রমে কেউ বা আপন গহনে
প্রতীক্ষা শুধু ঐ ক্ষণ ঐ দিনটার
ধরণী প্রকম্পিত করে আলোর শিখা নিভিয়ে
বিশ্ব  পিতা হাত বাড়িয়ে রয়েছে করবে গ্রহণ
তখনই হবে সব অশান্ত পরিবেশের,
শান্তির বরিষণ ।


কণ্টকাকীর্ণ পথ বাহিতে আসবে ধকল
তখন আক্ষেপ ছাড়া রইবে নাতো কিছু আর
দেখতে পাবে একটা কালো ছায়া আপন দর্পণে
হারিয়ে গেলে একবার আসবে নাতো ফিরে
করিতে কোন কষ্টের মোচন ।।