কি হেরিনু বিভাসিত প্রাতে
বাতায়ন খুলে অরুণ প্রভা
অদূরে ধূম্র পথ ছেদিয়া
চুমিছো আঁখি কোমল করে
যেন মায়ের কোমল ছোঁয়া ।


হিম প্রবাহ বহিছে উত্তর বায়ে
রজনী প্রভাতে হইল কেমনে ।
এখানে সেখানে কাঠ খড় জড় করে
আগুনে পুড়িছে তাহা
উদাম শিশুরা রহিছে ঘিরিয়া
বস্ত্র বিহনে মঙ্গা পীড়িত জনে
স্মরণে আসিছে সবি, হন্ত দন্ত করি
মসি বহিছে চলিয়া, জানিয়া
তাণ্ডব ঝরে উড়েছিল চালা
সুনামির আঘাতে ক্ষত বিক্ষত
সাজানো সংসার
আজো এত বৎসরে হয়নি নির্বাসন
কতই তো ছিল আশ্বাস, প্রলোভন
আসে কাছে পাঁচ বছর পরে
কত না তোষামোদ আর সমাদর।
এমনি করে কত কষ্টে, অনাহারে
কেটেছে দিবস যামিনী
আমরা ভুলিয়া গিয়াছি তাহা
জনতার রক্ত বিকানো অর্থ
পুঁজি করেছে তারা ।


নিজে ভুখা থাকি
শোষককে মাথায় রাখি
আজ এক, কাল অন্য
একই আয়নার প্রতিবিম্ব।
কবে যে শেষ হবে এই প্রথা
আমরা তো অথর্ব, বিকলাঙ্গ
মনে আছে তো তারুণ্যে
অগ্রে শিকল ভাঙ্গা গান গাইবে তারা
আমরা সুর মিলাবো তারুণ্যের
পদাঙ্ক বাহিয়া ।।