চাঁদচৌরঙ্গী ঘুরে কোন বাঁকে-
দেখিনি সৌন্দর্যস্বরূপ; বরং চৈত্রপুকুরে কাদামাটি
পলিআস্তর পড়ে আছে আঁষটে গন্ধ ফ্যাকাশে-
দারুনদৈন্যে বলিরেখা; কুঁচকানো চর্মাবৃত শরীর!


নাবিকের থুতু,- পানপিক নোংরা নোঙর আবর্জনা
ফাল্গুনের ঠোঁটে মৃতময়না হাড়গোড় ভাঙ্গা মেঘ!
দুপুরের দারুনতীর্যকতা এক কুষ্ঠরুগীর বাঁকানো হাত-
অন্ধকারে নীলশাড়ী সন্ধ্যারানী; তুলসীতলায় আতসবাজি।


এইসব মর্মান্তিক জলনাভিতে নদী সাঁতরায়-
পদ্মফুলের গলি পেরিয়ে কস্তুরীপর্বত উঁকি দেয় চন্দ্রচূড়ায়
হাপিত্যেস স্বপ্নদানা গলে যায় রহস্যগহ্বর স্রোতে
কেউটের লালটিপ ফণিতে মণি আর জ্বলে না তাতে।


গোপন চিবুকদূর্বা ডগায় ফোঁটাফোঁটা
স্নানান্তে মুক্তোমানিক; জ্যোৎস্নার ন্যংটোঝিলমিল
খুলে নেয় জরির বুটিককামিজ,- রাখীর লালসুতো
বুকের গিঁট খুলে বাসনাবিয়োগে পড়ে থাকে নেশাতুর চোখ।


কামারের পুরণলোহা পুড়ে রক্তঝরা কান্না-
অনুভবের যোনির ভেতর কামনার জ্যান্তকীট পড়ে থাকে।
পাঁজরের গুড়ো নিয়ে ফর্সাত্বকের প্রতিযোগিতায়-
দেখা যায় দাদরাতালে ঝুলে পড়া আকাঙ্খাস্তন তুফাণ।
তিমির রাতের নগ্নশরীর বেয়ে উঠে আসে
পলাতক ফেরারী ক্ষুধার্তসরীসৃপ হিসহিস ভাষাহীন কথাহীন
নিরব নিস্তব্দতায় সুতীক্ষ্ন দাঁতে কাটে আষাঢ় সম্পর্কগিঁট
বিকেলজঙ্গায় কমলাপ্রভা ছড়ায় ক্লান্ত-শ্রান্ত-রুগ্ন দিনমণি।


মধুচন্দ্রিমা প্রভাবে বধুবাসর হয় না,- জীবন বাজি রেখেও-
তারপর পথভোলা তারাদের চন্দ্রিমায় নিয়ে আসে
একদল দালাল প্রজাপতি সোৎসাহে শীৎকারে মনে হয়
আজন্মের স্বপ্নের কব্জিতে পড়ে নতুন সুতা বৎসরান্তে!
------------------ ০ ----------------
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৯, ১৫ সফর ১৪৪৩, সোমবার, সকাল: ০২:৫৭, কাব্যকুঞ্জ, (স্বত্ত্ব সংরক্ষিত)
** পতিতাবৃত্তি নিয়ে লেখা কবিতাটি