আমার উত্তারিধিকারে মাত্র একটা চিলেকোঠা, বাকিটা অধিগৃহীত হয়েছে শৈল্পিক  প্রবণতায়...


আজ বহুদিন পর সেই চিলেকোঠায় পায়রারা ডিম পেড়েছে...
আগেও যে ডিম মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে বহু,
বহু প্রান জলাঞ্জলি গেছে, প্রমানের অভাবে...


ডিফেন্স কাউন্সিল একা লড়ে গেছে সপ্তর্ষিমণ্ডলের সমস্ত পুঁজির সাথে সাথে...


সেই চিলেকোঠায় এক প্রাচীন এবং প্রানহীন ইজিচেয়ার আর আলমারী....
তারা মাঝে মধ্যেই তর্ক করে ক্ষমাপ্রবনতা নিয়ে  ...


আলমারিটার ঠিক ওপরেই আজ একটা লক্কা পায়রা পেখম তুলেছে।
আমার কল্পনা ময়ুরকে আস্কারা দিতে পারেনি...
আলমারির লকারে একটা কালসাপ পাহারায় রেখেছিলাম...
দুধকলা খেয়ে তার হৃষ্টপুষ্ট দাঁতে আজ বিষ হয়েছে... শরীরে মেদ হয়েছে...
পাহারায় প্রবল গাফিলতি...


আজ জমিয়ে রাখা স্মৃতির জাবদা খাতা টা বের করে দেখি,
পরিসংখ্যানে গাফিলতি অনেক, চুরি গেছে অনেক ছোট মুহুর্ত...
বড় গুলো... বড় হয়েছে আরো, ধর্মজ্ঞানী হয়েছে, বাড় বেড়েছে অনেক...


তবু কোনা খামচি থেকে বের করে নিয়ে এসেছি সেই সব ছোট গুলোকে...
যারা কোনদিন বড় হতে চায়নি...
শুধু চেয়েছে সামন্ততন্ত্রের কান্ডারীরা উত্তরাধিকার ছিনিয়ে নিক আমার কাছ থেকে...
যাতে বিচ্ছিন্ন হয় ছোটগুলোর সাথে আমার গোপন আঁতাত...
যাতে ওই ইজিচেয়ার আর আলমারীর তর্ক না শুনতে হয় ওদের!
যাতে আরেকটা ছোট জন্মে না যায় ওদের মধ্যে...
স্মৃতিমেদুর হয়ে ওঠে আমার ছোট্ট কষ্ট গুলো!


রাত নিজের মত করে সাদা পায়রা গুলোর সাদা পালকে কালো রঙ চাপিয়ে...
ঐ ইজিচেয়ারটায় বসে পা দোলায়...